সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাককে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাঁকে রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনের একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারের পর আব্দুর রাজ্জাককে রাজধানীর মিন্টো রোডস্থ গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নেয়া হচ্ছে।
সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের নামে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। আওয়ামী লীগের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় এই নেতা দ্বাদশ জাতীয় সংসদে টাঙ্গাইল থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে শেখ হাসিনার সর্বশেষ মন্ত্রিসভায় তাঁর স্থান হয়নি। ছাত্র–জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আব্দুর রাজ্জাককে আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি।
চলতি মাসের শুরুতে আব্দুর রাজ্জাক, তাঁর স্ত্রী ও তিন সন্তানের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়। একই সঙ্গে তাঁদের ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) গত ৩ অক্টোবর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাংক হিসাব স্থগিতের এ নির্দেশনা দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মানি লন্ডারিং পরিপালন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠায়।
বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে, উল্লিখিত পাঁচজন ও তাঁদের প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে সেই হিসাবের লেনদেন ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা এবং তাঁদের নামে কোনো লকার থাকলে তার ব্যবহার ৩০ দিনের জন্য বন্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া হলো।
ব্যাংক হিসাব স্থগিতের চিঠিতে আব্দুর রাজ্জাক, তাঁর দুই ছেলে রেজওয়ান শাহনেওয়াজ সুজিত ও রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত এবং মেয়ে ফারজানা আক্তার তন্দ্রার পিতা–মাতার নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও জন্মতারিখ উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া স্ত্রী শিরিন আক্তার বানুর কথা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
আব্দুর রাজ্জাক ও তাঁর পরিবারের সদস্য এবং তাঁদের ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিতের পাশাপাশি তাঁদের সব ব্যাংক হিসাব–সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল, যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি, লেনদেন বিবরণী বিএফআইইউর কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।