ঢাকা ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শেখ হাসিনা আর রাজনীতি করার জন্য দেশে ফিরতে পারবে না: তথ্য উপদেষ্টা

শেখ হাসিনা আর রাজনীতি করার জন্য দেশে ফিরতে পারবে না: তথ্য উপদেষ্টা

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ভারতে পালিয়ে থাকা ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 'আর রাজনীতি করার জন্য দেশে ফিরতে পারবে না' বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে রাজনীতি করার জন্য আর ফিরতে পারবেন না। শুধু ফাঁসির কাষ্ঠে দাঁড়ানোর জন্যই ফিরবেন। তাই পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের উস্কানিতে যারা এখনও জনজীবন দুর্বিষহ করার চেষ্টা করছেন, তারা সাবধান হয়ে যান।

রোববার (২০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। নাহিদ ইসলাম বলেন, ৫ আগস্ট দুপুর পর্যন্ত আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর স্নাইপার দিয়ে গুলি চালানো হয়েছে। সেদিন শেখ হাসিনা তাঁর সব নেতাকর্মী এবং পুলিশ বাহিনীকে মাঠে থাকার নির্দেশ দিয়ে কাউকে না জানিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যান। তাঁর এই সিদ্ধান্তের কারণে সেদিন অনেক পুলিশ সদস্য মারা যায়। এ আন্দোলনে যত পুলিশ মারা গেছে তার দায় শেখ হাসিনার।

তিনি বলেন, বর্তমানে গণমাধ্যম ব্যাপক স্বাধীনতা উপভোগ করছে। আমরা বাংলাদেশের গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন লড়াই-সংগ্রামের কথা জানি। আবার এর উল্টো দিকে ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের দালালির কথাও জানি। আমরা জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। বর্তমানে গণমাধ্যম যে স্বাধীনতা উপভোগ করছে, তা এর আগে বাংলাদেশে কখনও ছিল না।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, গণমাধ্যম থেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট এবং আকাঙ্ক্ষা পরিকল্পিতভাবে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখের কারণ। এখনও আমাদের অনেক ভাইবোনেরা আহত অবস্থায় হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। এখনও অনেকে শহীদ হচ্ছে অথচ আমাদের গণমাধ্যমগুলোতে সেই শহীদ এবং আহতদের কথা দিনকে দিন কমে আসছে। জনগণের স্মৃতি থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, বেশ কিছু গণমাধ্যম জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের নিহত হিসেবে উল্লেখ করছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। অথচ অন্তর্বর্তী সরকারের সব প্রজ্ঞাপনে তাদের শহীদ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। দেশবাসী তাদের শহীদ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। তবে গণমাধ্যম তাদের শহীদ বলতে কার্পণ্য করছে। উপদেষ্টা বলেন, এ গণঅভ্যুত্থান রক্তের মাধ্যমে ঘটেছে, রক্ত দিয়েই নতুন ইতিহাস তৈরি হয়েছে। যতই ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন, এ ইতিহাস মুছে যাওয়ার নয়।

উপদেষ্টা বলেন, গণমাধ্যম থেকে ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিতাড়িত করে জনগণের সামনে চিহ্নিত করতে হবে। কারণ আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম চাই। ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম ছাড়া নতুন বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব হবে না।

এর আগে সন্ধ্যায় তথ্য উপদেষ্টা কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এ সময় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা তাঁর সঙ্গে ছিলেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ এবং সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রেস ক্লাব ভবন ও প্রাঙ্গণে নান্দনিক আলোকসজ্জা করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন বরেণ্য শিল্পী ফেরদৌস আরা, কনকচাঁপা, উল্কা হোসেন, আলম আরা মিনু, শাহরিয়ার রাফাত, ইবনে রাজন প্রমুখ।

রাজনীতি,শেখ হাসিনা,আওয়ামী লীগ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত