ছয় উপদেষ্টার দায়িত্ব পুনর্বণ্টন, কোন দপ্তর পেলেন নতুনরা

প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৮ | অনলাইন সংস্করণ

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়া নতুন তিনজনের মধ্যে দুইজনকে দপ্তর বণ্টন এবং বর্তমান উপদেষ্টাদের মধ্যে সাতজনের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়েছে।

রোববার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন শিল্পপতি সেখ বশির উদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর দায়িত্বে থাকা মো. মাহফুজ আলম এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
 
সেখ বশির বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে, ফারুকী সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত মাহফুজ আলমকে কোনো মন্ত্রণালয় দেওয়া হয়নি। উপদেষ্টাদের মধ্যে সবচেয়ে বয়োকনিষ্ঠ এবং অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতা আসিফ মাহমুদের দায়িত্ব বাড়িয়ে যুব, ক্রীড়া এবং শ্রমের সঙ্গে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন এবং সমবায়ের মতো বড় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। 

এতদিন জনপ্রশাসনের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংযুক্ত উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারকে খাদ্য মন্ত্রণালয় দেওয়া হয়েছে। ড. ইউনূস নিজের হাতে রেখেছেন জনপ্রশাসন। স্থানীয় সরকার থেকে সরিয়ে বিমানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হাসান আরিফকে। 

প্রধান উপদেষ্টাসহ সরকারের সদস্য ছিল ২১ জন। একেকজনের হাতে একাধিক মন্ত্রণালয় থাকায় কাজের চাপ এবং  আশানুরূপ গতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে উপদেষ্টার সংখ্যা বাড়িয়ে ২৪-এ উন্নীত করা হলো।

অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের কাঁধে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল একই সঙ্গে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্বে রয়েছেন। সংস্কৃতিতে বসারই সুযোগ পান না তিনি। তাই তার ভার কমানো হয়েছে। 

শিক্ষা এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের হাতে দুটি মন্ত্রণালয় থাকায় তিনিও কাজের চাপে থাকছেন। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সামলাচ্ছিলেন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব) এম সাখাওয়াত হোসেন। সেখ বশিরকে পাট ও বস্ত্র দেওয়ায় শুধু নৌ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রইলেন সাবেক এই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। সেখ বশির বাণিজ্যের দায়িত্ব পাওয়া উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এখন থেকে শুধু অর্থ মন্ত্রণালয় সামলাবেন। মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সড়ক পরিবহন, সেতু, রেল, বিদ্যুৎ এবং খনিজ সম্পদসহ মোট পাঁচটি বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন। 

হাজার প্রাণের বিনিময়ে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার তিন দিনের মাথায় ড. ইউনূসের নেতৃত্বে ৮ আগস্ট ১৪ উপদেষ্টা শপথ নেন। পরদিন প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্য উপদেষ্টাদের দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ১১ আগস্ট শপথ নেন উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও বিধান রঞ্জন রায়। আর ১৩ আগস্ট শপথ নেন আরেক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। ১৬ আগস্ট নতুন করে আরও চার উপদেষ্টা শপথ নেন।