কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কমনওয়েলথের সহকারী মহাসচিব প্রফেসর লুইস ফ্রান্সেচি।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর সচিবালয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এই প্রতিশ্রুতি দেন।
সভায় নাহিদ ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সারা পৃথিবী থেকে সমর্থন পেয়েছে, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কোনো তত্ত্বাধায়ক সরকার নয়, বরং এটি হলো বিপ্লবী সরকার। শুধু নির্বাচন করাই এই সরকারের দায়িত্ব নয়।
উপদেষ্টা বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং এই সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানকালে চালানো গণহত্যার বিচার কাজ চলছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিরপেক্ষভাবে বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সরকারের জন্য কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সমর্থনের প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সমর্থন চান।
প্রফেসর লুইস বর্তমান সরকারের গণতান্ত্রিক সংস্কারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া সংস্কারসহ সম্ভাব্য সকল উপায়ে চলমান সংস্কারের প্রতি সমর্থন দেওয়ার বিষয়েও আশ্বস্ত করেন।
তিনি আরও জানান যে, অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমৃদ্ধ এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কমনওয়েলথ কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
লুইস আরও জানান, কমনওয়েলথ সব সময় বাংলাদেশে সঙ্গে রয়েছে এবং শিক্ষা, তথ্য প্রযুক্তি, গণমাধ্যম, সাইবার নিরাপত্তা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ নানা ক্ষেত্রে কাজ করতে আগ্রহী।
নাহিদ ইসলাম বলেন, সরকার বাংলাদেশকে কর্তৃত্ববাদী বা অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্র থেকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করছে।
এ বিষয়ে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সমর্থনের প্রতি গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় স্বার্থে যেকোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রস্তুত আছে।
সভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, আইসিটি বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ মেহেদি হাসান, কমনওয়েলথ উপদেষ্টা এবং এশিয়ার দেশগুলোর প্রধান ড. দিনুশা নিহারাসহ অন্যান্য ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।