শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ: দুই মেডিকেল কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর

প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২০:১৬ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

ভুল চিকিৎসায় রাজধানীর ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগে ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে একদল শিক্ষার্থী কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের ভেতর ঢুকে ব্যাপক হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। এ ঘটনায় প্রায় ৩৫ জনের মতো আহত হয়েছেন।

জানা গেছে, রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুর একটার পর পুরান ঢাকার ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বেলা ২টার পর একদল শিক্ষার্থী কলেজের ভেতর ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছেন বলে ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকসহ হাসপাতালটির কর্মচারীরা বলেন। একইসঙ্গে ভাঙচুর করা হয়েছে কলেজের একটি অ্যাম্বুলেন্সও।

এদিকে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী কলেজেও আজ ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বেলা ২টার পর এ কলেজের ভেতরে ঢুকে শ্রেণিকক্ষসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক নাসির উদ্দিন বলেন, সম্প্রতি ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের এক শিক্ষার্থী ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে এ কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা আজ দুপুর একটার দিকে ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেন। এতে পুরান ঢাকার জনসন রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী অভিজিৎ হাওলাদার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়। ‘ভুল চিকিৎসায়’ অভিজিৎ মারা যায় বলে জানান তারা। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার তারা মেডিকেল কলেজটির সামনে বিক্ষোভ করেন। তারা দাবি করেন, ওই দিন পুরান ঢাকার কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর হামলা চালান। এর প্রতিবাদে আজ তারা ন্যাশনাল মেডিকেলের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় আবার পুরান ঢাকার সরকারি শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী কলেজসহ আশপাশের কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর হামলা চালায়।

বিক্ষোভকারী এক শিক্ষার্থী জানায়, আজ সকালে ডিএমআরসি ও আশেপাশের কলেজগুলো ন্যাশনাল মেডিকেলের সামনে বিক্ষোভ করতে আসলে, কবি নজরুলের শিক্ষার্থীরা পুনরায় তাদের ওপর হামলা চালায়। পরবর্তীতে সমন্বিতভাবে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের হামলার জবাবে তাদের প্রতিহত করা হয়। এতে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫-৩০ জন আহত হয়েছে।

 

আবা/এসআর/২৪