ঘূর্ণিঝড় ফিনজাল: যেসব স্থানে আঘাত হানতে পারে

প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ | অনলাইন সংস্করণ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ফিনজালে পরিণত হয়েছে। ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার বিকেলে তামিলনাড়ু রাজ্যের পুদুচেরিতে আঘাত হানতে পারে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাইক্লোন ফিনজাল কারইকাল ও মামাল্লাপুরম দিয়ে তামিলনাড়ু উপকূল অতিক্রম করবে। ওই সময় বাতাসের গতিবেগ ৭০-৮০ কিলোমিটার এবং ঝড়ো হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।

শুক্রবার আইএমডি জানিয়েছিল, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি শুক্রবার  দুপুর আড়াইটায় ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ওই সময় ঝড়টি পুদুচেরি থেকে ২৭০ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরপূর্ব এবং চেন্নাই থেকে ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থান করছিল।

ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন তামিলনাড়ুর রাজস্ব ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী রাম চন্দ্রন। এছাড়া তামিলনাড়ু পুদুচেরি, চেন্নাই, তিরুভাল্লুর, চেঙ্গলপাট্টু, কাঞ্চিপুরম, ভিলুপুরম, কাল্লাকুরিচি ও কুড্ডালোর জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুকের দেওয়া বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ফিনজাল উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫১৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আজ দুপুরের দিকে উত্তর তামিলনাড়ু উপকূল অতিক্রম করতে পারে।  

সংস্থাটি জানায়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। এর ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরে ‘দানা’ নামের আরেকটি ঘূর্ণিঝড় ভারতীয় উপকূলে আঘাত হানে।