দেশে বর্তমানে বেকার জনগোষ্ঠীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। ২০২৪ সালের শুরুতে দেশে বেকার মানুষ কম থাকলেও বছর শেষে ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে এই সংখ্যা। দেশে বর্তমানে মোট বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৬০ হাজার।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
এতে বলা হয়, দেশে কর্মে নিয়োজিত বা শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণকারী মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ায় বেকার মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। সম্প্রতি ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) শ্রমশক্তি জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিবিএস।
জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, কৃষি, সেবা ও শিল্পসহ সব খাতেই কমেছে কর্মে নিয়োজিত জনগোষ্ঠী। নারীর চেয়ে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে পুরুষ বেকারের সংখ্যা।
বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস শেষে দেশে পুরুষ বেকারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৯০ হাজার। এ ছাড়া নারী বেকারের সংখ্যা ৮ লাখ ৭০ হাজার।
২০২৩ সালের একই সময়ে পুরুষ বেকার ১৬ লাখ ৪০ হাজার, আর নারী বেকার ছিল ৮ লাখ ৫০ হাজার। সে হিসাবে পুরুষ বেকার বেড়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার এবং নারী বেকার বেড়েছে ২০ হাজার।
বিবিএস জানায়, শ্রমশক্তিতে এখন (তৃতীয় প্রান্তিকে) ৫ কোটি ৯১ লাখ ৮০ হাজার নারী-পুরুষ আছেন। অথচ ২০২৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে এ সংখ্যা ছিল ৬ কোটি ১১ লাখ ৫০ হাজার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণকারী মানুষের সংখ্যা কমেছে ১৯ লাখ ৫০ হাজার। যেখানে মোট শ্রমশক্তিতে থাকা জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৫ কোটি ৬৫ লাখ ২০ হাজার লোক কর্মে নিয়োজিত। বাকিরা বেকার।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) নিয়ম অনুযায়ী, বেকার জনগোষ্ঠী মূলত তারা, যারা গত সাত দিনের মধ্যে মজুরির বিনিময়ে একঘণ্টা কাজ করার সুযোগও পাননি। এ ছাড়া গত এক মাস ধরে কাজ খুঁজেছেন, কিন্তু মজুরির বিনিময়ে কোনো কাজ পাননি। বিবিএস এ নিয়ম অনুসরণ করেই বেকারের হিসাব দিয়ে থাকে।