মিষ্টি ও বেকারি পণ্যে আরোপ করা ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ‘বাংলাদেশ সুইটস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের’ চট্টগ্রামের নেতারা। তারা সরকারকে সাতদিন সময় বেঁধে দিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সরকার ভ্যাট প্রত্যাহার না করলে বড় আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করেন তারা। অ্যাসোসিয়েশনের চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি শহীদুল্লাহ কোরাইশী বলেন, এই সেক্টর ধ্বংস হলে কোটি কোটি মানুষ বেকার হবে, সেইসঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিরাট ঘাটতির সৃষ্টি হবে। কেননা এই সেক্টরে অনেক পণ্য বিদেশেও রপ্তানি হয়। আমরা সবসময় সরকারের সকল আইনকানুন মেনে নিয়মিত ভ্যাট-ট্যাক্স পরিশোধ করে ব্যবসা করে থাকি। এরপরেও কিছু কুচক্রী মহলের অপতৎপরতায় বর্তমান এই শিল্প রুগ্ণ শিল্পে পরিণত করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, জ্বালানি গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধি, সেইসঙ্গে ময়দা, পাউডার দুধ, চিনি, তৈলসহ বিভিন্ন কাঁচামালের অব্যাহতভাবে মূল্য বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে নাভিশ্বাস উঠেছে। ইতোমধ্যে অনেক কারখানা বন্ধ হয়েছে, আরও অনেক কারখানা বন্ধ হওয়ার পথে। তাই আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ বা তারও নিচে নিয়ে এসে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় অদূর ভবিষ্যতে ফ্যাক্টরি বন্ধ করা ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা থাকবে না। সরকারকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে মিষ্টি ও বেকারি পণ্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করে সর্বনিম্ন হারে ভ্যাট নির্ধারণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করব।
সুইটস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের চট্টগ্রাম বিভাগের সাধারণ সম্পাদক মো. কফিল উদ্দিন বলেছেন, মিষ্টি ও বেকারি পণ্যে ভ্যাট বাড়ালে নিম্নবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্তরা বেশি ভুগবে।
মানবন্ধনে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি ছালেহ আহমেদ সুলেমান, সুইটস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি আনোয়ারুল কিবরিয়া, উপদেষ্টা নুরুল আলম, অর্থ সম্পাদক আলাউদ্দীন আল হাসেম, দপ্তর সম্পাদক এম এ সবুর, নির্বাহী সদস্য অধ্যাপক নীলাদ্র কুমার দে বক্তব্য দেন।
সম্প্রতি শতাধিক পণ্য ও সেবায় ভ্যাট বাড়িয়েছে সরকার। ভোক্তা পর্যায়ে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ৫ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়। এসব পণ্যের মধ্যে মিষ্টি ও বেকারি পণ্যও রয়েছে।