সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের বিতর্কিত ৯টি ধারা বাতিল
প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:১৫ | অনলাইন সংস্করণ
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের বিতর্কিত ৯টি ধারা রহিত করা হয়েছে। বাদ পড়েছে বুলিংও। তাছাড়া ২৫(৩) ধারায় নারী ও শিশু সাইবার অপরাধকে শাস্তিযোগ্য করা হয়েছে। পাশাপাশি চারটি অপরাধকে অজামিনযোগ্য ও এক ডজনের বেশি নতুন সংজ্ঞা যুক্ত করে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ হালনাগাদ করা হয়েছে। তারপরও যদি কোনো মতামত থাকে তা আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অনলাইনে যে কেউ মতামত দিতে পারবেন নাগরিকরা।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশসহ (টিআইবি) নাগরিক সমাজের পরামর্শে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার পর এ হালনাগাদ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, যদি কারও কোনো অভিযোগ থাকে, তবে তা জানালে আইন পাসের আগে সংশোধন-পরিমার্জনের সুযোগ থাকছে। দেশের সুপ্রশস্ত সাইবার স্পেসকে সুরক্ষায় করা অধ্যাদেশটি যেন নিবর্তনমূলক না হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। তবে সংস্কারের মানসিকতায় এটি নিয়মিত হালনাগাদ হতে পারবে। পেনাল কোডে যেসব বিষয় আছে, তা এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিজিডি গভসার্ট প্রকল্পের অধীনে যে কাজ চলছে, তার বাইরে জনপ্রেক্ষিতে ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সিকে আরও কার্যকর করতে অধ্যাদেশ বাস্তবায়নের পর এর পরিধি আরও বাড়ানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সচিবের সঙ্গে আইসিটি নীতি উপদেষ্টা ফয়েজ আহমেদ তাইয়্যেব ও আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার সিদ্দীকা উপস্থিত ছিলেন।
ফয়েজ আহমেদ তাইয়্যেব বলেন, অধ্যাদেশটি যেন নিবর্তনমূলক না হয়, সেজন্য সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সাইবার সুরক্ষার সংজ্ঞায় ইন্টারনেটের সার্বক্ষণিক সংযুক্তি, জাতীয় সাইবার সুরক্ষা গঠন, ব্যক্তির পাশাপাশি ভবিষ্যতের সম্ভাব্য বিষয়ও সংযুক্ত করা হয়েছে। এ আইনে বাংলাদেশের সব পেশাজীবীকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। শব্দচয়নে বিতর্কিত বিষয়গুলোকে সতর্কতার সঙ্গে সংজ্ঞায়ন করা হয়েছে।
এদিকে, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর হালনাগাদের পরও যদি কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার কোনো মতামত থাকে তা অনলাইনে পাঠানো যাবে। মতামত পাঠাতে হবে [email protected] ও [email protected] ই-মেইল ঠিকানায়।
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে যা থাকছে, যা বাদ পড়ছে:
১. ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এ ২৪ ঘণ্টা ইন্টারনেট প্রাপ্তির অধিকার ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে
২. সাইবার স্পেসে ঝুঁকি মোকাবিলার উদ্যোগ স্পষ্ট করা হয়েছে
৩. যৌন হয়রানিকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে
৪. কনটেন্ট ব্লকের দিক থেকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির কারণে ব্লক করার কারণ জানানোর বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে
৫. তল্লাশির স্বার্থে জব্দ করা জিনিসপত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করতে হবে
৬. জুলাই বিপ্লবের বিপক্ষে কিছু প্রকাশ করা যাবে না, এমন অনুরোধ উপেক্ষা করা হয়েছে।