দেশ থেকে চুরি যাওয়া শত শত বিলিয়ন ডলারের অর্থ ফেরত আনতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের কাছে সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও আলোচনার সময় তিনি এ সহায়তা চান।
প্রধান উপদেষ্টা এদিন জার্মানির ফেডারেল চ্যান্সেলারি ও বিশেষ কার্যবিষয়ক মন্ত্রী ওলফগ্যাং শমিড, বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পায়েটংতার্ন শিনাওয়াত্রা, সুইস ফেডারেল কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান ইগনাজিও ক্যাসিস, দুবাই সংস্কৃতি ও শিল্প কর্তৃপক্ষের চেয়ারপারসন শেখা লতিফা বিনতে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স চিসেকেদি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন জলবায়ু দূত জন কেরি এবং যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারসহ আরও অনেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশে কীভাবে দিবালোকে ডাকাতি হয়েছে- তা খতিয়ে দেখতে শীর্ষ বিশেষজ্ঞ, থিংক ট্যাংক, সাংবাদিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।
দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে ড. ইউনূস জার্মান মন্ত্রীকে বলেন, ‘আমরা যখন নতুন বাংলাদেশের কথা বলি, তখন পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশের কথাও বলি।’ এ বিষয়ে জার্মানির সরকারের সমর্থন কামনা করেন এবং জার্মান মন্ত্রীর সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্র নিয়েও আলোচনা করেন তিনি।
জার্মান মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ড. ইউনূস বলেন, আমরা যখন নতুন বাংলাদেশের কথা বলি, তখন পরিষ্কার বাংলাদেশের কথাও বলি। তিনি জার্মানির সহযোগিতা কামনা করেন এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেন।
জার্মান মন্ত্রী জানান, একটি নতুন জার্মান ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল এপ্রিলে বাংলাদেশ সফর করবে।
সুইস ফেডারেল কাউন্সিলর ইগনাজিও ক্যাসিসের সঙ্গে বৈঠকে জলবায়ু অর্থায়নসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ড. ইউনূস বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে কার্বন সংরক্ষণ উদ্যোগে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করেন।
আবা/এসআর/২৪