অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, জনগণ কী ধরনের সংস্কার চায় সেটার ওপর নির্ভর করবে আগামী নির্বাচনের তারিখ। সংক্ষিপ্ত সংস্কার হলে চলতি বছরের শেষ নাগাদ নির্বাচন হবে। আর বিস্তারিত সংস্কার করলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনের ফাঁকে ‘আ কনভারসেশন উইথ মুহাম্মদ ইউনূস’ অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা জানান।
নির্বাচন প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, যদি আমরা সংক্ষিপ্ত ধরনের সংস্কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করি, সেক্ষেত্রে এ বছরের শেষ নাগাদ নির্বাচনের টার্গেট করেছি। কিন্তু যদি জনগণ বলে- না না আমরা বড় পরিসরে সংস্কার চাই, সে ক্ষেত্রে আমাদের প্রয়োজন আরও ছয় মাস। সেক্ষেত্রে জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা স্বল্প নাকি বড় ধরনের সংস্কার চান। বড় ধরনের সংস্কার হলে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি, আর ছোট ধরনের সংস্কার হলে এ বছরের শেষ নাগাদ নির্বাচন হবে। সেভাবেই আমরা এগোচ্ছি।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, সংস্কার কমিশনগুলোর রিপোর্ট এলে জনগণ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা হবে। কমিশনের যেসব সুপারিশ গ্রহণ করা হবে, শুধু সেগুলোই বাস্তবায়ন করা হবে।
সব দল ও নাগরিক সংগঠনের ঐকমত্যের ভিত্তিতেই জুলাই চার্টার করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, জুলাই চার্টারের ভিত্তিতে নির্বাচনসহ আমাদের কর্মপন্থা শুরু করব। জনগণ কী ধরনের নির্বাচন চায়, সেটা জানা ছাড়া আমরা নির্বাচনে যেতে পারি না।
আবা/এসআর/২৪