ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় স্থবির হয়ে পড়েছেন কুড়িগ্রামের বাসিন্দারা। টানা ছয়দিন ধরে জেলায় সূর্যের দেখা মিলছে না। এতে ঘর থেকে বের হয়ে কাজে না যেতে পারায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষেরা।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের পর্যবেক্ষণ সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ (রোববার) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা ও আলু ক্ষেত নিয়ে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের কৃষক জহির আলী বলেন, প্রচণ্ড শীতের কারণে আলু ক্ষতি হবে। এতো কষ্ট করে আবাদ করেছি। ভেবেছিলাম আলুর ফলন ভালো হলে বিক্রি করে ভালো টাকা পাবো। এখন দুশ্চিন্তায় আছি। আল্লাহ ভরসা।
অন্যদিকে তীব্র শীতে জেলায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। অনেকেই সমস্য নিয়ে ভিড় করছেন হাসপাতালে।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ডা. শাহিদ সর্দার বলেন, শীতের কারণে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে বেশি ভর্তি হচ্ছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান, চলতি বছর জেলার ৯ উপজেলায় ৩৫ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। মাঝখানে শীত কমে যাওয়ায় নতুন করে আর চাহিদা দেওয়া হয়নি। তবে পরিস্থিতি প্রতিকূলে গেলে নতুন করে বরাদ্দ চাওয়া হবে।
এদিকে, এ রকম শীত ও কুয়াশা আরও কয়েকদিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র সরকার।
আবা/এসআর/২৪
