বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম চাঁদার হাত বদল হলেও চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কেরানীগঞ্জে আমি এই প্রথম এলাম। আমার আরও আগে আসা উচিত ছিল। আমরা আশা করেছিলাম ৫ আগস্টের পর কেরানীগঞ্জে চাঁদাবাজি থাকবে না। কিন্তু আমরা দেখলাম দুর্নীতি, চাঁদাবাজি এখনও চলছে। আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি। আমাদের লড়াই চলছে, চলবে।
সারজিস আলম বলেন, আপনাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আজ থেকে ৫ মাস আগে খুনি হাসিনার আমলে কেরানীগঞ্জে যে চাঁদাবাজি চলত এখন তা শুধু হাত বদল হয়েছে। কিন্তু বন্ধ হয়নি। বিগত বছরগুলোতে খুনি হাসিনা মানুষের ওপর যে জুলুম চালিয়েছে। বাংলার মানুষ তা ভুলে যায়নি। হাসিনা যত দিন ক্ষমতায় ছিল দেশের মানুষের ওপর দুঃশাসন-জুলুম করেছে। বিগত সাড়ে ১৫ বছর দুঃশাসন, জুলুমের কষ্ট মানুষ ভুলতে পারবে না।
জুলাই অভ্যুত্থানে কেরানীগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা উল্লেখ করে সারজিস আলম বলেন, ‘আপনারা যাঁরা এই অভ্যুথানের নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁরা এই কেরানীগঞ্জের নেতৃত্বের হাল ধরতে প্রস্তুত থাকুন। আপনারা যদি সেই সাহস নিয়ে কেরানীগঞ্জের মাটিতে দাঁড়ান, হয়তো প্রথম দিনে আপনার সঙ্গে ১০০ জন দাঁড়াবে, কিন্তু এ সংখ্যাটা কয়েক দিনের ব্যবধানে কয়েক হাজারে পরিণত হবে। এ সংখ্যাটা কয়েক মাসের ব্যবধানে লাখে পরিণত হবে।
আমরা বিশ্বাস করি, ১০০ জন নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে শুরু করলে অচিরেই সেটি লাখে পরিণত হবে। কিছু অর্থের বিনিময়ে আমরা যদি কারও কাছে নিজেদের বিক্রি করে দিই, তাহলে সাময়িক কিছু ক্ষমতার কারণে দাসত্ব বরণ করে নিতে হবে। সেই শৃঙ্খলের বেড়াজালে গত ১৬ বছরের মতো আবারও আমাদের বন্দী হতে হবে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি, জাবেদ, সাইমন চৌধুরী, অপু, ফেরদৌস, বকুল ও সুমন। আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি আলামিন মিনহাজ, জুম্মন, ইমরান প্রমুখ।