জুলাই হত্যাকাণ্ডের পরপরই গত বছরের ৫ আগস্ট চট্টগ্রামে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত পুলিশ কনস্টেবল মো. রিয়াদ এবং তার ৫ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) নগরীর পতেঙ্গা থানার কাঠগড় ও বাকলিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- পুলিশ কনস্টেবল মো. রিয়াদ, তার সহযোগী আবদুল গণি, আবু বক্কর, ফরহাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান ও মো. ইসহাক। তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও সাত রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। কনস্টেবল রিয়াদ চাঁদপুর জেলা পুলিশে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায়। গ্রেফতারের পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
গ্রেফতারদের মধ্যে আবদুল গণি ও ফরহাদ হোসেনকে তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালত। কনস্টেবল রিয়াদ, আবু বক্কর ও মোস্তাফিজুর রহমান থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র বেচাকেনায় জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলত জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া জবানবন্দি না দেওয়ায় গ্রেফতার ইসহাককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন বলেন, অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার হওয়া ৬ আসামিকে আদালতে হাজির করে পতেঙ্গা মডেল থানা পুলিশ। এরমধ্যে তিন জন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। দুই জনকে তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন নগরীর আটটি থানা ও আটটি ফাঁড়ি লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। ওই সময় ৮১৩টি অস্ত্র এবং ৪৪ হাজার ৩২৪টি গুলি লুট হয়।
আবা/এসআর/২৫