দ্বিতীয় দিনের ঈদযাত্রায় ট্রেনে স্বস্তিতেই ঢাকা ছাড়ছে সাধারণ মানুষ। অন্য দিনের মতো আজও ঠিক সময়ে যাত্রা শুরু করছে ঈদে ঘরমুখো মানুষদের বহনকারী ট্রেনগুলো।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকাল ৯টা পর্যন্ত ১১টি ট্রেন কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে গেছে।
এবারের ঈদ যাত্রার প্রথম দিনে দুটি ট্রেন কিছুটা বিলম্বে ছাড়লেও দ্বিতীয় দিনে চিত্র পাল্টেছে। সকাল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে যথা সময়েই ছাড়ছে ট্রেন। কোনো বিলম্ব না থাকায় স্বস্তির কথা জানাচ্ছেন যাত্রীরা। তারা বলছেন, এভাবেই যেন ট্রেনে ভোগান্তিহীন যাত্রা চলে শেষ দিন পর্যন্ত। স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, আগাম প্রস্তুতি থাকায় যাত্রায় কোনো সমস্যা হবে না।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, অন্যান্য বছর ঈদযাত্রায় ৮ থেকে ১০ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালাতো বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এবার সেটি কমিয়ে ৫ জোড়া করা হয়েছে। তাছাড়া প্রতিদিনের যাত্রায় কোনো ভোগান্তি যেন না হয় এজন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আমরা যাত্রীদের সেবায় সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করছি। কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছালে সে ট্রেন ছাড়ায় কোনো বিলম্ব হবে না।
এবারের ঈদযাত্রায় ৫ জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হবে। এগুলো হলো-ঢাকা দেওয়ানগঞ্জ রুটে দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল, ভৈরববাজার- কিশোরগঞ্জ রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল এবং জয়দেবপুর-পার্বতীপুর রুটে পার্বতীপুর ঈদ স্পেশাল। ঈদযাত্রা উপলক্ষে ট্রেনগুলোতে বাড়তি ৪৪টি বগি যুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়া ২৭শে মার্চ থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত সব আন্তঃনগর ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধ বাতিল করা হয়েছে।
প্রতিবারের মতো এবারও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ঈদযাত্রাকে নিরাপদ, স্বাচ্ছন্দ্যময় ও উৎসবমুখর করতে প্রস্তুত করা হয়েছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। টিকিট কাউন্টার, প্ল্যাটফরমসহ সব জায়গায় রয়েছে র্যাব, পুলিশ, আনসার সদস্যের পাশাপাশি রেলওয়ের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী।