শহীদ মিনারে সন্জীদা খাতুনকে অশ্রু, গান, কবিতা ও ফুলে সর্বস্তরের মানুষের শেষবারের মতো শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে আজ বুধবার তার কফিন বিএসএমএমইউ এর হিমঘরে নিয়ে রাখা হয়েছে।
আজ বেলা আড়াইটায় সন্জীদা খাতুনের কফিন শহীদ মিনারে নেওয়া হয়। অশ্রু, গান, কবিতা ও ফুলে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। এ সময় ‘আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে’সহ বেশ কয়েকটি গান পরিবেশন করেছেন শিল্পীরা। তাঁকে শেষবারের মতো দেখতে হাজির হয়েছিলেন অনেকে।
বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার পর গান, কথামালা আর আবৃত্তিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিদায় জানানো হয় বাঙালির সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে কিংবদন্তিতুল্য ব্যক্তিত্ব সন্জীদা খাতুনকে।
এর আগে সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ নজরুল শিল্পী সংস্থা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। ব্যক্তিগতভাবেও কেউ কেউ এসে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় জীবনের এই বিপুল যাত্রা সাঙ্গ করেন সন্জীদা খাতুন। রাতে মরদেহ হিমঘরে রাখা হয়, পরে বুধবার দুপুর ১২টায় মরদেহ আনা হয় ছায়ানট ভবনে।
তিনি ছিলেন ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং সর্বশেষ সভাপতি। তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বুধবার সকাল থেকেই ছায়ানট ভবনে ভিড় করেন শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। তাদের দীর্ঘ লাইন ছায়ানট ভবন ছাড়িয়ে ধানমণ্ডি ২৭ নম্বরে গিয়ে ঠেকে।
ছায়ানট থেকে থেকে সন্জীদা খাতুনের মরদেহ নেওয়া হয় তার সাবেক কর্মস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে। সেখান থেকে আড়াইটার পর মরদেহ নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
শহীদ মিনারে সন্জীদা খাতুনের পুত্রবধূ ও রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী লাইসা আহমদ লিসা বলেন, ‘তিনি আজকে বিদায় নিচ্ছেন। কিন্তু তাঁর দেখানো পথ ও তাঁর শক্তি যেন ধারণ করতে পারি। এগিয়ে যেতে পারি। যাঁরা সমবেত হয়েছেন এবং তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন, সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’
আবা/এসআর/২৫