অবৈধ গ্যাস সংযোগ রোধে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি। চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে ১৬ এপ্রিল (বুধবার) গজারিয়া, সোনারগাঁও, রূপগঞ্জ, টঙ্গী, নারায়ণগঞ্জ এবং শিবপুরে একযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিপুল সংখ্যক অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
গজারিয়ার আনারপুরা ও ভাটের চর এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর নেতৃত্বে অভিযানে ৩টি চুন কারখানার (মোট ৯টি ভাট্টি) অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। একইসঙ্গে প্রায় ১০ ফুট এমএস পাইপ ও ৩৫০ ফুট হোজ পাইপ জব্দ এবং এক্সক্যাভেটরের মাধ্যমে স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়। এতে দৈনিক ১৮,০০০ ঘনফুট/ঘণ্টা গ্যাস সাশ্রয় হয়েছে যার আনুমানিক মূল্য ২,৯৩,৬০০ টাকা।
অন্যদিকে, সোনারগাঁও অঞ্চলে মোহনপুর, ফরাজীকান্দা ও বন্দরে অভিযান চালিয়ে ৬টি আবাসিক এবং ২টি বাণিজ্যিক (সুকুমার মিষ্টান্ন ভাণ্ডার ও আল খালিদ হোটেল অ্যান্ড সুইটস) সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। একই সময় রূপগঞ্জ এলাকায় ৩০টি অতিরিক্ত চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তাৎক্ষণিকভাবে ২ জন গ্রাহকের কাছ থেকে ২,৫২,০০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
টঙ্গীর মেসার্স Eskimo Fashion-এ অনুমোদনবহির্ভূত স্থাপনা পাওয়ায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পাশাপাশি, নারায়ণগঞ্জে “হাঁচি আনি সিএনজি”-তে অবৈধ আন্তঃসংযোগ চিহ্নিত করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার শেরপুর এলাকাতেও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব রাজীব দাশ পুরকায়স্থের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে একটি বোর্ড মিলের বয়লারে অবৈধ গ্যাস সংযোগ কেটে ফেলা হয়। এ সময় কাগজের কোণ তৈরির ৩টি ফ্যাক্টরির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং প্রায় ২০০ ফুট পাইপ জব্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর, ২০২৪ হতে গত ১৬ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ২৩৩টি শিল্প, ১৫৫টি বাণিজ্যিক ও ২৯,২৩২টি আবাসিকসহ মোট ২৯,৬২০টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ৬৭,২২১টি বার্নার বিচ্ছিন্ন সহ উক্ত অভিযানসমূহে ১৪৪ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে।