ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির এক যুগ, বিচারকাজ গতিহারা

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির এক যুগ, বিচারকাজ গতিহারা

আজ থেকে এক যুগ আগে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ধসে পড়েছিল সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকার রানা প্লাজা। বাংলাদেশের ইতিহাসে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে বড় ইন্ডাস্ট্রিয়াল এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ১ হাজার ১৩৬ জন শ্রমজীবী। আহত হন আরও প্রায় দুই হাজার মানুষ। এক যুগ পেরিয়ে গেলেও এখনও মেলেনি নিখোঁজদের হদিস। আতঙ্ক ভুলতে পারেননি আহতরাও।

নিহত শ্রমিকদের স্মরণে পোশাক শিল্পে শোক দিবস ঘোষণা, রানা প্লাজার সামনে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের এক জীবনের ক্ষতিপূরণসহ নানা দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মোমবাতি প্রজ্বলন করেছেন হতাহত শ্রমিকদের স্বজন, আহত শ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল থেকে প্রতিবাদ সমাবেশ ও সন্ধ্যায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে সাভারের রানা প্লাজার বেদীর সামনে মোমবাতি জ্বালিয়ে তাদের শ্রদ্ধা জানানো হয়।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের আইন বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার ১২ বছর পূর্ণ হলেও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা হয়নি। এটাকে দুর্ঘটনা বললে ভুল হবে, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। ক্ষতিগ্রস্ত সবার প্রয়োজনীয় সহায়তা, পুনর্বাসন এবং আহতদের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা দিতে হবে।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন বলেন, শ্রমিকরা আহত হওয়ার পর চিকিৎসার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। তারা এখন পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পেলেন না। ১২ বছর পার হয়ে গেলো, রাজা প্লাজার ঘটনায় জড়িতদের বিচার আমরা দেখতে পাইনি। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমরা বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানাই।

ভবন ধসে বিপুলসংখ্যক মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনায় ওই সময় মোট চারটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে অবহেলার কারণে মৃত্যু উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ, ইমারত নির্মাণ আইন না মেনে ভবন নির্মাণ করায় একটি মামলা করে রাজউক এবং ভবন নির্মাণে দুর্নীতি ও সম্পদের তথ্য গোপন সংক্রান্ত দুটি মামলা করে দুদক। দীর্ঘ বারো বছরে চারটি মামলার মধ্যে সম্পদের তথ্য গোপনের মামলা নিষ্পত্তি হলেও বাকি তিনটি মামলা নিষ্পত্তির মুখ দেখছে না।

আবা/এসআর/২৫

ট্র্যাজেডি,রানা প্লাজা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত