সাহস করে দেশের সাহেদ মার্কা একটা লোকের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেয়ার হিম্মত নেই, অথচ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বড় বড় স্ট্যাটাস দিচ্ছে আমাদের দেশের কিছু ‘ফেবু বিড়াল’। ফেবু বিড়াল হলো- যারা বাস্তবে কিছুই না, কিন্তু ফেসবুকে তারা অনেক কিছু। ধরুন- খুব সাহসী, গবেষক, পণ্ডিত, সত্যবাদী আরো কত কি!
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যারা ইনিয়ে-বিনিয়ে বহু স্ট্যাটাস দেন তারাও আসলে এক প্রকার ‘ভন্ড সাহেদ’। তারা সব সময়ই সুযোগ খোঁজেন, যখনই কোন সাহেদরা মাইনকার চিপায় পড়েন তখনই তাদের বিরুদ্ধে নানা স্ট্যাটাস দিয়ে নিজেকে সাহসী হিসেবে জাহির করেন। কারণ তারা জানেন সাহেদরা এখন মাইনকার চিপায় তাকে নিয়ে স্ট্যাটাস দিলে তার কোন ক্ষতি হবে না।
এই ধরুন- সাহেদ, সম্রাট ও হাজী সেলিম এরা যখন মাইনকার চিপায় পড়েনি তখন কেউই এদের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেওয়ার সাহস করেননি। অথচ এখন তাদের বিরুদ্ধে ‘ফেবু বিড়াল’রা অহরহ স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছেন।
এই ‘ফেবু বিড়াল’দের বলছি- সাহস বা হিম্মত থাকলে আমাদের দেশের সাহেদ ও ট্রাম্পের মত বহু জনপ্রতিনিধি আছে, তাদের অকাজ-কুকাজ নিয়ে একটা স্ট্যাটাস দেন! সেটা করবেন কেন! রাম ধোলাইয়ের ভয় আছে তাইতো? ট্রাম্পতো অনেক দূরে থাকেন, চাইলেও একটা চড়-থাপ্পর দিতে পারবে না, এমনকি আপনার দেওয়া স্ট্যাটাসও তিনি দেখবেন না। তাই যত খুশি তার বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজেকে ফেসবুকে যতটুকু পণ্ডিত হিসেবে প্রকাশ করা যায় আর কি।
শুধু ফেসবুকের একটি স্ট্যাটাসে বড় বড় সমস্যার সমাধান ও বহু অপরাধী শাস্তির আওতায় আসার নজির এ দেশে হাজারো আছে। এখনও আমাদের দেশে বহু সাহেদ প্রকাশ্যে অকাজ-কুকাজ করে যাচ্ছে, সাহস থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলুন, স্ট্যাটাস দিন। শুধু শুধু ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বা বাইডেনের পক্ষে স্ট্যাটাস দিয়ে লাভ কি? আমরাতো অং সান সুচি ও মমতা ব্যানার্জির পক্ষে-বিপক্ষেও বহু স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। ফলাফল কি হয়েছে নিশ্চয়ই আমাদের অজানা নেই।