ছাত্রদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:২৯ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। দিবসটি উপলক্ষে উপলক্ষে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্র সমাবেশ করবে সংগঠনটি। ছাত্রদল নেতারা বলছেন, নানা কারণে দলের পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় অনাড়ম্বর আয়োজনে পালন করা হবে ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। তারা দিবসটি প্রতিবাদ হিসেবে পালন করবে। লড়াইয়ের শপথ নিয়ে আন্দোলনের নতুন বছর শুরু করতে চায় সংগঠনের নেতাকর্মীরা। 


‘মোরা দেশের তরে আপসহীন, লড়াই হবে বিরামহীন’  এই প্রতিপাদ্যে দিবসটি উপলক্ষে আজ সকাল ৯টায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সব জেলা, মহানগর ও বিশ^বিদ্যালয় ইউনিট কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ১০টায় ছাত্রদল কেন্দ্রীয় নেতাদের সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। এ ছাড়া ২ জানুয়ারি ছাত্রদলের প্রত্যেকটি জেলা, মহানগর ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশের আয়োজনের কথা বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ছাত্রদল।


১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান শিক্ষা, ঐক্য ও প্রগতি-এ তিন মূলনীতিকে ধারণ করে ছাত্রদল গঠন করেন। আশির দশকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ছাত্র সংসদে ছাত্রদলের উল্লেখযোগ্য অবস্থান ছিল। নব্বইয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন কিংবা এর পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামেও সামনের সারিতে দেখা গেছে সংগঠনটিকে। কিন্তু বর্তমান সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামে সংগঠনটির সে ধরনের ভূমিকা দৃশ্যমান নয়। তবে সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের নেতৃত্বের গাঝাড়া দিয়েছে ছাত্রদল। তাদের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করে।


 ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল গণমাধ্যমকে বলেন, বিএনপির ভ্যানগার্ড হিসেবে যেভাবে কাজ করার কথা হয়তো তা পারছি না আমরা। বড় কারণ সাম্প্রতিক সময়ের মতো এত দমন-পীড়নের শিকার আগে হইনি। এখন সরাসরি গুলি চালানো হচ্ছে। এগুলো মোকাবিলা করেই আমাদের কর্মসূচি চলছে। তবে এবার লড়াইয়ের শপথ নিয়েছি। শক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত হচ্ছে ছাত্রদল। সংগঠনের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যক্তি স্বার্থে সামগ্রিক আন্দোলনকে ব্যাহত করতে দেওয়া হবে না। সাংগঠনিক অভিভাবক যে সিদ্ধান্ত দেবেন, তাই মেনে নিতে হবে।