বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নিতে ১৫টি সংগঠনের সমন্বয়ে ‘সমমনা গণতান্ত্রিক জোটের’ আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। রোববার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এ জোটের ঘোষণা দেন।
১৫টি সংগঠন ও তাদের নেতারা হলেন- ইয়ুথ ফোরাম সভাপতি সাইদুর রহমান, জিয়া নাগরিক সংসদ সভাপতি অ্যাডভোকেট মাইনুদ্দিন মজুমদার, ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট সভাপতি আজিজুল হাই সোহাগ, শহীদ জিয়া আইনজীবী পরিষদ সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু ইউসুফ সরকার, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল সভাপতি পীরজাদা ওমর ফারুক, বাংলাদেশ জাস্টিজ পার্টি সভাপতি অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম, সংবিধান সংরক্ষণ পরিষদ সভাপতি অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান, গণতন্ত্র রক্ষা মঞ্চ সভাপতি মনোয়ার হোসেন বেগ, জাতীয়তাবাদী চালক দল সভাপতি মো. শাহজাহান, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ ৭১ সভাপতি আনসার রহমান শিকদার, ঘুরে দাঁড়াও বাংলাদেশ সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, মুভমেন্ট ফর ডেমোক্রেসি সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল সভাপতি বাহাদুর আহমেদ পিন্টু, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন সভাপতি আজিজা সুলতানা, বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ সভাপতি মো. ওমর ফারুক। এ জোটের প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান।
সমমনা গণতান্ত্রিক জোটের আত্মপ্রকাশকে অভিনন্দন জানিয়ে বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যে একটি আকাঙ্খা নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিল সেটি হচ্ছে গণতন্ত্র। আমি আমার ভোট দিয়েছি, সেই ভোটের মূল্যায়ন করতে হবে। পাকিস্তানি সরকার জনগণের ভোটের মূল্যায়ন করেনি, যার ফলে বাংলাদেশের মানুষ বিপ্লব ঘটিয়েছিল।
তিনি বলেন, পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি কিন্তু এখন বাংলাদেশের গুটি কয়েক শ্রেণির লোক দেশে শাসন ব্যবস্থাকে গ্রাস করছে এবং তারা যা চাচ্ছে তাই করছে। তারা ১৫৪টি আসনে ভোট ছাড়া নির্বাচিত হয়ে যান এবং দিনের ভোট রাতে করে থাকেন। আর বৃদ্ধ লোকজনকে নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার করে, গুলি করে ও মামলা দেয়। এমন একটি অভিজ্ঞতার পরে বাংলাদেশের কোনো মানুষ চায় না আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হোক। তারা যতই কথা বলুক না কেন নির্বাচন তাদের অধীনে সুষ্ঠু হবে না। তার আলামত আমরা দেখতে পারছি। আবার ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গেছে আমলাদের নিয়ে। টুকু বলেন, এবার হয়তো দিনের ভোট রাতে হবে না, দিনের ভোট দিনেই হবে তবে অন্য কোনো মেকানিকে হবে। ইভিএম না হলে অন্য কিছু করবে। জনগণ যাতে তাদের ভোট না দিতে পারে তার জন্য সরকার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহŸায়ক আমান উল্লাহ আমান উপস্থিত ছিলেন।