৩১ দিন কারাভোগের পর কারামুক্ত হলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবীর খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৫ টা ৫০ মিনিটে কারাগার থেকে তারা বের হয়ে আসেন। যুবদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক কামাল আনোয়ার আহমেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসের মুক্তির অপেক্ষায় দুপুর থেকেই নেতাকর্মীরা কারাগারের গেইটে অপেক্ষা করছিলেন। সন্ধ্যায় যখন এই দুই শীর্ষ নেতা বের হয়ে আসেন তখন কারাগারের বাইরে অপেক্ষমান বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী তাদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন।
এর আগে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে বিএনপির দুই নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম ও মির্জা আব্বাসের জামিননামার কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকায় দেখা যায়, দুই নেতার জামিনের সংবাদ পেয়ে কেরানীগঞ্জ ও ঢাকার আশপাশের বিএনপির নেতা-কর্মীরা দুপুর থেকে কারাগার প্রাঙ্গণে এসে জড়ো হন। মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিনের বিষয়টি কেন্দ্র করে কারাগার কর্তৃপক্ষ কারাগার এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করে।
কারাগারে আসা বন্দীদের আত্মীয়স্বজন ও দর্শনার্থীদের কারাগার এলাকায় প্রবেশকালে তল্লাশি করা হয়। বিকেল থেকে মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস কারাগারের ফটকে অপেক্ষা করছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিএনপির আরও অনেক নেতা-কর্মী।
এর আগে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিননামা আদালতে দাখিল করা হয়। জামিননামা কারাগারে যাওয়ার পর তাঁরা মুক্তি পাবেন বলে জানান তাঁদের আইনজীবীরা। এর আগে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় হওয়া নাশকতার মামলায় কারাবন্দি বিএনপির শীর্ষ দুই নেতাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। রোববার সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন। বিএনপির দুই নেতার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, এএম মাহবুবউদ্দিন খোকন, কায়সার কামাল, রুহুল কুদ্দুস কাজল, গাজী কামরুল ইসলাম সজল ও সগীর হোসেন লিয়ন।
গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের পর ৮ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৩টার দিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরদিন দুপুরে তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।