বিএনপির মহাসচিব মিজা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রিয় ভাইয়েরা মহান আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছা ও আপনাদের আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা মাত্র দুইজন মুক্তি পেয়েছি। আরো সবাই এখনো কারাগারে। শুধু বন্দি নয়, তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। এটা সেলের মধ্য ৫-৭ জনকে গাদাগাদি করে রাখা হচ্ছে৷ সোমবার সন্ধ্যায় বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে সন্ধ্যা ৬টায় কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে সরাসরি নয়াপল্টন বিএনপি কার্যালয়ে যান বিএনপি মহাসচিব। এ সময় বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী মির্জা ফখরুলকে ফুলের মালা দিয়ে অভিনন্দন জানান। প্রিয় নেতার মুক্তিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেন দলীয় কর্মীরা।
তিনি বনেন, ক্ষমতাসীনরা গ্রেফতার করে ভোটের অধিকারের আন্দোলন বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলো কিন্তু এতে আন্দোলন আরো বেগবান হয়েছে। সারাদেশ আন্দোলনে প্রকম্পিত হচ্ছে৷ সরকার যত বেশি অত্যাচার করবে ততবেশি মানুষ ফুসে উঠবে। পিছু হটবার পথ নেই। আন্দোলনের মাধ্যমেই আমরা কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাবো। তাই আন্দোলন আরো তীব্র করতে হবে৷ এর মাধ্যমে দেশকে মুক্ত করতে হবে। আসুন এই শপথ নিয়ে নতুন অঙ্গীকার করি। বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলতেই থাকবে।
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদসয় মিজা আব্বাস বলেন, সমাবেশের স্থান নির্ধারণ নিয়ে অস্হির অবস্থার মধ্যে গ্রেফতার করা হয়। আমার অপরাধ ছিলো আমি সংঘর্ষ এড়িয়ে গেছি। সরকারকে বলবো বিএনপি সন্ত্রাসী দল নয়। কারাগারে তাকা অবস্থায় তারেক রহমান তাদের পরিবারের খোঁজ নেয়ায় ধন্যবাদ জানান তিনি। আন্দোলনের মাধ্যেমে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ খালেদা জিয়ার মুক্তি তরান্বিত করা হবে বলেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।
এ সময় অন্যদের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি'র আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী, দলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদল সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।