আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেছেন, দেশ বিরোধী শক্তিকে নিয়ে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি।
তিনি বলেন, কখনো শুনি বিএনপির নেতৃত্বে, ৩০ দল, কখনো শুনি ৫৪দল। এতই যদি জনসমর্থন থাকে তবে নির্বাচনে আসতে ভয় কেন? আসলে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে পারবে না জেনেই ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি। বিএনপির সংগঠন ও তাদের নেতৃত্বই সৃস্টি হয়েছে পেছনের দরজা দিয়ে বন্দুকের নলে ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে। তাই জনগণের প্রতি তাদের কোনো আস্থা নেই। বিগত দিনে দেশ বিরোধী শক্তিকে যেমন পরাজিত করা হয়েছে, এবারও একইভাবেই তাদের রুখে দেওয়া হবে।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের উদ্যেগে আয়োজিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমু বলেন, যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশে বঙ্গবন্ধু মাত্র ৯ মাসে একটি পূর্ণাঙ্গ সংবিধান দিয়েছিলেন। এখন যারা সংবিধান পরিবর্তনের আন্দোলন করছে, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে ব্যহত করতে চাইছে, শেখ হাসিনার বিরোধিতা করছে, তারা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি। তারা এবং তাদের দোসররা একাত্তরে নারী নির্যাতন করেছে, গণহত্যা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িকতাকে পুঁজি করে এদেশের মুসলমানদের বিভ্রান্ত করে বাংলার মানুষকে শোষণ ও শাসন করেছে পাকিস্তান। তাদের সেই দোসররা আবারো সক্রিয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ১৪ দল জোটবদ্ধভাবে কাজ করবে।
এ আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ১৪ দলের মহানগর সমন্বয়ক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টি (জেপি)’র সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)’র সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহবায়ক ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গণ আজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার, বাসদ আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি জাকির হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. দিলীপ রায় প্রমুখ।
