বিভিন্ন দাবিতে রাজধানীতে ইসলামী ঐক্যজোটের বিক্ষোভ
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
‘ইসলামবিরোধী শিক্ষা সিলেবাস বাতিল, দুর্নীতির মূলোৎপাটন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও দেশে ইসলামী হুকুমত কায়েমের’ দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে ইসলামী ঐক্যজোট।
শনিবার দুপুরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে আয়োজিত এ বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী ও মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ।
মিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী বলেন, বিতর্কিত শিক্ষা সিলেবাসের মাধ্যমে দেশের নতুন প্রজন্মকে নাস্তিক ও পৌত্তলিক বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে। পাঠ্য বইয়ে নগ্ন ছবি, পর্দা, দাড়ির বিরোধিতা, মুর্তিসহ ডারউইনের বিবর্তনবাদ ও হিন্দুত্ববাদ সংযোজন করে মুসলিম শিক্ষার্থীদের ঈমান হারা করার পাঁয়তারা চলছে। ৯২ ভাগ মুসলমান দেশের পাঠ্য পুস্তকে ডারউইনের মতবাদ দেখতে চায়না, তারা দেশীয় ও ধর্মীয় সংস্কৃতি, সভ্যতা ও ইতিহাসের সঠিক উপস্থাপন দেখতে চায়।
তিনি বলেন, অবিলম্বে ইসলামবিরোধী বিতর্কিত শিক্ষা সিলেবাস অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। ৯২ ভাগ মুসলমানের চিন্তা চেতনা অনুযায়ী আলেমদের তত্বাবধানে নতুন শিক্ষা সিলেবাস প্রণয়ন করতে হবে। একইসঙ্গে ইসলামবিরোধী এই সিলেবাস প্রণয়নে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, অন্যথায় ইসলামী ঐক্যজোট বৃহত্তর কর্মসূচির মাধ্যমে নাস্তিক-মুরতাদদের দেশ থেকে বিতাড়িত করে ছাড়বে।
মাওলানা হাসানাত আমিনী বলেন, সরকার মডেল মসজিদ নির্মাণ করছে ‘সাধুবাদ’। তবে মডেল মসজিদে কওমি মাদরাসা পড়–য়া ও হক্কানী উলামায়ে কেরামকে নিয়োগ দিতে হবে। কোনভাবেই ভ্রান্ত আকিদা পোষণকারীদের নিয়োগ দেয়া যাবে না। এতে মডেল মসজিদের সুনাম ক্ষুন্ন হবে। ইসলামের ক্ষতি হবে।
সমাবেশে ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, ইসলামের মৌলিক বিধি-বিধানের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা অপরিহার্য। বর্তমান শিক্ষা সিলেবাসে এই বিধি-বিধানের উপর চূড়ান্তভাবে আঘাত করা হয়েছে। বিবর্তনবাদের মত কুফুরি আকীদাকে শিক্ষা কারিকুলামের অন্তর্ভুক্ত করে আগামী প্রজন্মকে নাস্তিক্যবাদি রূপে গড়ে তুলতে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি তৈয়্যব হোসাইন, মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা শেখ লোকমান হোসাইন, মুফতি আব্দুল কাইয়্যুম, মাওলানা আলতাফ হোসাইন, মাওলানা ফারুক আহমদ, মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ গাজী, মাওলানা আবুল খায়ের বিক্রমপুরী, মুফতি নাসির উদ্দিন কাসেমী, মাওলানা আনোয়ারুল হক, মুফতি যোবায়ের আহমদ কাসেমী, মুফতি আব্দুল কাইয়্যুম, মুফতি রহমতুল্লাহ বুখারী, মাওলানা শহিদুল আনোয়ার, মুফতি খোরশেদ আলম, মাওলানা নুরুজ্জামান, ছাত্রনেতা আবুল হাসিম প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল পল্টন মোড় হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে এসে দোয়ার মাধ্যমে শেষ হয়।