বিএনপির ভাইয়া গ্রুপ নির্বাচন চায় না: শামীম ওসমান
প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৩:২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, ১০ তারিখের আলটিমেটাম দিয়েছিল বিএনপি, বলেছিল ১১ তারিখ তারেক জিয়া আসবে। তখন আমি বলেছিলাম ‘ঘোড়ার ডিম হবে’। আসলেই কিছুই হয়নি। ডিমও পাড়েনি। মূলত বিএনপিতে এখন দুটি গ্রুপ। একটি ভাইয়া গ্রুপ, আরেকটি আম্মা গ্রুপ। ভাইয়া গ্রুপের যে নেতা তিনি দেশের বাইরে আছেন। সেখান থেকে তিনি ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি বিএনপির বহু নেতাকর্মীর জীবনকে ধংস করছেন। তাঁর টার্গেট নির্বাচন না। তাঁর টার্গেট বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশে ফিরতে। কয়েকদিন আগে জঙ্গি ধরা পড়েছে। তারা কিন্তু প্রশিক্ষিত জঙ্গি। আরেকটি গ্রুপ আম্মা গ্রুপ। কথার কথা আমার ধারণা বিএনপির স্থায়ী কমিটির ১০ জনের মধ্যে ৯জনই চায়। হয়তো তাঁরা সাহস করে বলতে পারে না। কিন্তু ভাইয়া গ্রুপ নির্বাচন চায় না।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি না সেটা নিয়ে আমরা চিন্তিত না। জাতির পিতার কন্যার উপর রহমতের চাদর বিছিয়ে দেওয়া আছে। তাকে বার বার হত্যার চেষ্টা করেও কাজ হয়নি। সামনে যে খেলা হবে সে খেলায় আমরাই জিতবো। আওয়ামী লীগ আবারো ক্ষমতায় আসবে এটা নিশ্চিত। আবারো শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হবেন।
সুইডেনে কোরআন পোড়ানো প্রসঙ্গে বলেন, যারা এ ঘৃণিত কাজটি করেছে তাদের শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। এটা তো সুইডেন করেনি বরং একজন ব্যক্তি করেছে। যারা বা যিনি করেছেন তাদের প্রতি ঘৃণা জানাচ্ছি। বিশ্বে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। বাংলাদেশে যারা এ নিয়ে আন্দোলন করেছেন আমি তাদের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছি।
সোমবার (৩০ জানুয়ারী) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন চলাকালে গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন। তাঁর আশা এবারের নির্বাচনেও ১৭ পদের সবগুলোতে আওয়ামী লীগ পন্থীরা জিতবেন।
উল্লেখ্য, সোমবার (৩০ জানুয়ারী) নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আইনজীবী সমিতির সেলিম ওসমান ভবনের নিচ তলায় সকাল ৯ টা থেকে শুরু করে বিকেল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়। আওয়ামীলীগ ও বিএনপি সমর্থিত দু’টি প্যানেলে ১৭টি পদে লড়েছেন ৩৪ জন প্রার্থী। নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১১৫১জন। তাদের মধ্যে কয়েকজন ভোটার অনুপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছেন সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূইয়া। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রয়েছেন অ্যাডভোকেট মো: আশরাফ হোসেন, জেলা জজ আদালতের জিপি অ্যাডভোকেট মেরিনা বেগম, অ্যাডভোকেট মোঃ আব্দুর রহিম, অ্যাডভোকেট সুখচাঁদ সরকার। আপীল বোর্ডে দায়িত্ব পালন করবেন অ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক তারাজুদ্দিন, অ্যাডভোকেট নুরুল হুদা এবং অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির।
বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের মনোনীত প্যানেলে সভাপতি পদে রয়েছেন অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন অ্যাডভোকেট মোহসীন মিঞা। সিনিয়র সহঃসভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মোঃ আলাউদ্দিন আহমেদ, সহঃসভাপতি পদে রবিউল আমিন রনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ পদে অ্যাডভোকেট স্বপন ভূইয়া, আপ্যায়ন সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট অঞ্জন দাস, লাইব্রেরী সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মো. এরশাদুজ্জামান ইমন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. আব্দুল মান্নান, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে রাজিয়া আমিন কাঞ্চি, সমাজসেবা সম্পাদক পদে মানজুদুল রশিদ রিফাত ও আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে মো. দেলোয়ার হোসেন সুজন প্রধান। কার্যকরী সদস্য পদে রয়েছেন অ্যাডভোকেট আলী আকবর, নারায়ণ চন্দ্র সাহা, নূরী নাজমুল আলম, হালিমা আক্তার ও ফাহিমা রহমান পায়েল।
অপরদিকে, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির এবারের নির্বাচনে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের প্যানেলের সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব শাহীন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট এইচ এম আনোয়ার প্রধান। সিনিয়র সহঃসভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মো. সুমন মিয়া, সহঃসভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মো. জুবায়ের আলম জীবন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম মুক্তা, কোষাধ্যক্ষ পদে অ্যাডভোকেট শেখ আনজুম আহম্মেদ রিফাত, আপ্যায়ন সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আসমা হেলেন বিথী, লাইব্রেরী সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মোঃ রোকন উদ্দিন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট রাসেল প্রধান, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট সারোয়ার জাহান, সমাজসেবা সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মো. গোলাম সারোয়ার ও আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান হাবিব। কার্যকরী সদস্য পদে রয়েছেন অ্যাডভোকেট ফাতেমা খাতুন, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, অ্যাডভোকেট মো. সুমন মিয়া, অ্যাডভোকেট মো. আদনান মোল্লা ও অ্যাডভোকেট সাজিয়া আক্তার।