বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, বিএনপি নেতাদের অধিকার বা দক্ষতা নাই এই দেশ পরিচালনা করার। আপনাদের চেয়ারম্যান দুর্নীতির দায়গ্রস্থ; আপনি কার মুখপাত্র? আওয়ামী লীগ সরকারে ক্ষমতাচ্যুত করার শক্তি বিএনপি-জামায়তের নেই।
আজ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দেশব্যাপী বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্য ও তাণ্ডবের প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, আজ যুব সমাজ ঐক্যবদ্ধ। যে কোন ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার জন্য রাজপথে তারা ঐক্যবদ্ধ। তারা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার অত্যন্ত প্রহরীর মতো রাজপথে থেকে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার ক্ষমতা রাখে। বিএনপি জামায়াতের কৌশল আমাদেরকে অত্যাচারী এবং কতৃত্তবাদী সরকার হিসাবে বহিবিশ্বে উপস্থাপন করা। এত নমনীয়তার পরও আমরা নাকি অত্যাচারী সরকার। ওরা মিথ্যাচারী ও পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতে চায়, বিভিন্ন রকম উষ্কানি দিতে চেষ্টা করবে।
তিনি বলেন, আমরা ওদের ফাঁদে পা দিব না। ওরা প্রতারণায় এবং প্রোপাগান্ডায় ভীষণ ভাবে পটু। কিন্তু রাজপথে আমরা এক ইঞ্চি ও ছাড় দিবো না। আমাদেরকে ব্লাকমেইল করার সুযোগ দিবো না। ওরা দিনকে রাত, রাত কে দিন বানাতে বড় পারদর্শী। এই দলটি মিথ্যার উপরই সৃষ্টি। ওরা জাতির পিতার নাম মুছে ফেলেছিল, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করেছিল। সুতারং মিথ্যা চর্চার ক্ষেত্রে এই দলকে দুর্বল ভাবার কোন সুযোগ নেই। বিএনপি হত্যা ও মিথ্যাচারের উপর সৃষ্টি। আর আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে রাজপথে, মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য; সংগ্রাম করতে করতেই আমাদের জন্ম।
যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, এই দেশকে বিএনপি-জামায়াত জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন। পুলিশ বাহিনীর কৃতিত্বে সেই জঙ্গিবাদ আজ প্রায় নির্মূল এবং নির্বাসনে। সুতারাং পুলিশ বাহিনীর উপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করবেন না। বিএনপি নেতাদের যুব সমাজ সাবধান করে দিচ্ছে। আপনারা হুমকি দেন যে আপনাদের নেতাকর্মীদেরকে গ্রেপ্তার করলে আপনারা থানা আক্রামন করবেন, কোন সভ্য সমাজে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নাগরিক এই কথা বলতে পারে না। বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন তা আপনাদের আচারণে প্রমাণিত।
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, এই ঢাকার রাজপথে আপনারা পোস্টার হয়েছেন, নুর হোসেন, ফাত্তাহ বাবুল হয়েছেন। তারপরেও দেশের স্বার্থে, সংগঠনের স্বার্থে, বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার প্রশ্নে যুবলীগ আপোস করে নাই, যুবলীগ আপোস করতে জানে না। তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, যেমনি করে বিগত দিনে কাফনের কাপড় মাথায় বেঁধে রাজপথ আগলে রেখে প্রিয়নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশিত পথে মানুষের কল্যাণে, মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য আপনারা সব সময় কাজ করেছেন। আগামী নির্বাচনেও সেই সাহসীকতা আর বীরত্বের সাথে রাজপথে থাকবেন। বিএনপি-জামাতের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আবারও রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে ঘরে ফিরবেন।
ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানার সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম রেজার সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য- অ্যাড. মামুনুর রশিদ, মঞ্জুর আলম শাহীন, হাবিবুর রহমান পবন, মোঃ নবী নেওয়াজ, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, মোঃ জসিম মাতুব্বর, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জহির উদ্দিন খসরু, আবু মুনির মোঃ শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ জহুরুল ইসলাম মিল্টন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম অনিক, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মোঃ হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, উপ- দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ- ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো: আব্দুর রহমান, উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক- শামসুল ইসলাম পাটোয়ারী, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো: গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্য।
ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেন স্বপন, আনোয়ার ইকবাল সান্টু, নাজমুল হোসেন টুটুল, মুরসালিম আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু, মাকসুদুর রহমান, কাজী ইব্রাহীম খলিল মারুফ, দপ্তর সম্পাদক এমদাদুল হক এমদাদ, অর্থ সম্পাদক ফিরোজ উদ্দিন আহম্মেদ সায়মন, উপ-দপ্তর সম্পাদক খন্দকার আরিফ-উজ-জামান, উপ-শিক্ষা ও পাঠাগার-আলতাফ হোসেনসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।