তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, "ভোট আসলে অনেকে লাফালাফি করে, বড় বড় কথা বলে৷ নানা ধরনের স্লোগান দেয়, তাদের করোনার সময় দেখা যায়নি, বন্যাতেও তারা ছিলো না, কোন দুর্যোগে তাদের পাওয়া যায় না। গত ১৪টি বছর ধরে বিএনপিকে মানুষের পাশে দেখা যায়নি।"
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বিকালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে উপকারভোগী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়াল বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ইউনিয়নের লোকমান চেয়ারম্যান মাঠে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক হিরু। বিশেষ অতিথি ছিলেন উত্তরজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম চিশতী, ইফতেখার হোসেন বাবুল, মুহাম্মদ আলী শাহ, জামাল উদ্দিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, ইকবাল হোসেন, চেয়ারম্যান মো. নূর উল্লাহ, আবদুর রহিম, সিরাজুল করিম সিকদার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা সাজ্জাতুল ইসলাম খোকন, মো. কামাল উদ্দিন, আইয়ুব রানা, জসিম উদ্দিন, মো.ইসমাঈল, ছালেহ আহমদ, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মো. আলী শাহ, যুবলীগ নেতা মো. বাদশা, ছাত্রলীগের মো. ফারুক প্রমুখ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষ থেকে নানা সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে ভিজিডি, ভিজিএফ, ফ্যামিলি কার্ডসহ এক একটি ইউনিয়নের ৪/৫ হাজার মানুষ ভাতা পাচ্ছে। আবার একটি বাড়ি একটি খামারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ যে টাকা জমায়, সরকার তার দ্বিগুণ দিচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকার ঔষধ ফ্রি দিচ্ছে, বছরের শুরুতে বিনা পয়সায় বই দিচ্ছে। এসব দিচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সরকার, নৌকা প্রতীকের সরকার।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, "আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় না আসলে এসব বন্ধ হয়ে যাবে। যেভাবে কমিনিটি ক্লিনিক ৯৬ সালে শেখ হাসিনা চালু করেছে বলে বিএনপি এসে তা বন্ধ করে দিয়েছিলো। ভাতা দেয়ার ক্ষেত্রেও নানা অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে। আওয়ামী লীগ পুনঃরায় ক্ষমতায় এসে এসব আবার চালু করেছে। তাই সাধারণ মানুষের উন্নয়ন এবং দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই৷ আগামীতেও নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।"