স্মার্ট ভোলা গড়তে শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে কাজ করছি: নোমান

প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২৩, ২১:৪৯ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

ভোলাকে স্মার্ট জেলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে কাজ করছি বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা, বিবিএস ও নাহি গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার (সিআইপি)।

আজ আলোকিত বাংলাদেশের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হল শাখার ছাত্রলীগে নির্বাচিত ভিপি ছিলেন। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনি।

ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার বলেন, ভোলা একটি দ্বীপ অঞ্চল। সেখানে প্রাকৃতিক গ্যাস রয়েছে। ভোলায় গ্যাসভিত্তিক শিল্পাঞ্চল করা যেতে পারে।
গ্যাসভিত্তিক শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলতে পারলে ভোলা একটি স্মার্ট জেলায় পরিণত হবে। সেখানে কর্মসংস্থান হবে। বেকারত্ব দূর হবে। মানুষকে কর্মমুখী করতে পারলে সমাজ থেকে অনেক অপরাধ কমে যায়। আমি ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চাই। পাশাপাশি বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকদেরও ভোলায় ইন্ডাস্টি গড়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও ভোলায় আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীর ভাগ্যের পরিবর্তন হয় নাই। এখন ভোলার লালমোহন ও তজুমুদ্দিনের মানুষ পরিবর্তন চায়। নব্য আওয়ামী লীগারই ফুলে-ফেপে উঠছে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াতের যে সকল ক্যাডার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করেছে। তারা এখন দলে অনুপ্রবেশ করেছে। দলের ত্যাগিরা অনুপ্রবেশকারীদের হাতে মার খাচ্ছে, নির্যাতিত হচ্ছে। তাই এবার নির্বাচনের মাধ্যেমে মানুষ পরিবর্তন চায়। আমি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেনে মনোনয়নের জন্য কাজ করছি। আমি সবসময় দলে নেতাকর্মী ও জনসাধারণের পাশে আছি, থাকব।

ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার বলেন, আমি এমপি হলে আমাদের সংগ্রামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য দেশ-বিদেশে তুলে ধরব। পাশাপাশি লালমোহন-তজুমদ্দিনের শিক্ষার মান উন্নয়ন করে কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলব। সে শিক্ষা ব্যবস্থা স্মার্ট বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচার-প্রচারণাও চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান এই ব্যবসায়ী নেতা। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে নির্বাচন সামনে রেখে তিনি প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছি। ভোটারদের সমর্থন আদায়ের পাশাপাশি দলীয় মনোনয়ন পেতে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। করোনাকালে কর্মহীনদের ঘরে আমি আমার সাধ্যমতো খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে সবসময় গরিব-অসহায় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।