পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থা জনগণ, বিদেশীরা নয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল। জনগণের অধিকার আদায়ের লক্ষে এই দল প্রতিষ্ঠিত হয়। পৃথিবীর ইতিহাসে আওয়ামী লীগই একটি দল, যে দল মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময়ই জনগনের ওপর আস্থা রাখতেন৷ তিনি কখনো বিদেশী প্রভুদের ওপর আস্থা রাখতেন না। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাও জনগণের ওপর আস্থা রাখেন, কোনো বিদেশী প্রভুদের ওপর নয়।
বুধবার শরীয়তপুর সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা আয়োজিত ইফতার মাহফিল পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, দেশের মানুষের ভোটে বিএনপির আস্থা নেই। বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন, তাদের আস্থা শুধু বিদেশিদের ওপর। বিএনপি নানানভাবে পদ্ধতিতে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে। জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে বিএনপি বিদেশী কাছে নালিশ ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করতে ব্যস্ত। তারাতো আন্দোলন সংগ্রাম করে ক্ষমতায় আসে নাই। তারা বন্দুকের নল ঠেকিয়ে, ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসেছিল। একারণেই জনগন জনবিচ্ছিন্ন বিএনপিকে আর ক্ষমতায় আনবে না। এদেশের জনগন উন্নয়নে বিশ্বাসী। জনগন দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় আনবে।
নির্বাচনের জন্য বিএনপিকে প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে ষড়যন্ত্র করবেন না। আন্দোলনের হুমকি দেবেন না। যেকোনো আন্দোলন মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ প্রস্তুত আছে। সব ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য যা প্রয়োজন সরকার সেটি করবে। তবে বিএনপি যতই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বপ্ন দেখুক, সেটা সম্ভব না। এটা বাংলাদেশে আর কখনো ফিরে আসবে না।
তিনি বলেন, হাওয়া ভবনের গডফাদার ও দন্ডপ্রাপ্ত বিদেশে পলাতক তারেক রহমান আজকে দেশের বাইরে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আর বিএনপি নেতারা দেশে বসেই বিদেশীদের কাছে ধরণা দেয়। তারা বিদেশীদের কাছে মিথ্যা কথা বলে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। আমরা আগামী নির্বাচনে দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে ভোটের মাঠে এদেরকে উপযুক্ত জবাব দেব।
এনামুল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনায় গণমাধ্যমের যেমন যুগান্তকারী বিকাশ ঘটেছে। পাশাপাশি দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার যে চাহিদা বেড়েছে। সরকারের উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক মনোভাবের কারণেই সাম্প্রতিককালে দেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটেছে। তবে মহান মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের প্রশ্নে সাংবাদিকদের আপোষ করা উচিত নয়। যারা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না এবং দেশ বিরোধী নানান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তাদেরকে পরিহার করা উচিত। তাই সাংবাদিকদের প্রতি সরকারের উন্নয়নগুলো তুলে ধরার আহ্বান জানাচ্ছি।
এনামুল হক বলেন, বিএনপি নেতারা সাংবাদিক ইস্যুতে মাঝে মাঝেই কথা বলেন অথচ তাদের সময় সাংবাদিক শামসুর রহমান, মানিক সাহা, হুমায়ুন কবির বালুসহ বেশকিছু সাংবাদিককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে, অনেককে করা হয়েছে নির্যাতন, তা কি ভুলে গেছেন তারা।
শরীয়তপুর সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা সভাপতি বেনজীর আহম্মেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আজমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজির মুখ্য সমন্বয়কারী আখতার হোসেন। এসময় সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।