বিদেশী প্রভুদের পা ধরে কোন লাভ হবে না: নানক
প্রকাশ : ১০ মে ২০২৩, ১১:২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, দেশের ভিতরে একটি অশুভ শক্তি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র করে সরকার হঠাতে চায়।
মঙ্গলবার (৯ মে) আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কথা-কবিতায় স্মরণ ও দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটের 'বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি' পাঠাগারে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নানক বলেন, দেশের ভিতরে একটি অশুভ শক্তি সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে। তারা সরকার ফেলে দেওয়ার চিন্তা করে। তারা দেশের মধ্যে থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র করেছে। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করে আর আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে আওয়ামী লীগকে টলানো যাবে না; মির্জা ফখরুল সাহেব পরিস্কার বলে দিতে চাই।
তিনি আরও বলেন, বিদেশী প্রভুদের কাছে পা ধরে, আপত্তি করে, নালিশ করে, অভিযোগ করে, কোন লাভ হবে না। সোজা পথে আসতে হবে। অগণতান্ত্রিক পথ পরিহার করে গণতন্ত্রের পথে আসতে হবে। নির্বাচনই হলো একমাত্র সরকার পরিবর্তনের হাতিয়ার।
সেই পথে বিএনপিকে আসার আহ্বান জানিয়ে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকে দীর্ঘ সময় জাপান, আমেরিকা ও যুক্তরাজ্য সফর শেষে আল্লাহতালার ইচ্ছায় স্বদেশে ফিরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এই সফরে বিদেশী প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাতে বাংলাদেশের জনগণের মুখ উজ্জ্বল করেছেন শেখ হাসিনা।
১/১১'র প্রসঙ্গ স্মরণ করে আওয়ামী লীগের এই সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বলেন, এই মে মাসে আমরা আন্দোলন করেছিলাম যখন ১/১১ সরকার শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করলেন। গ্রেফতার হওয়ার পর তিনি যখন দেশের বাইরে গেলেন চিকিৎসার জন্য, তারপরে তাকে আর দেশে ফিরতে দিতে চায় নি। তাকে বহনকারী বিমান ঢাকা বিমানবন্দরে নামতে দেওয়া হবে না। এটি জানিয়ে দেওয়ার পরও শেখ হাসিনাই সেই নেত্রী যিনি সকল রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলেন।
আজকের বাংলাদেশে যে মির্জা ফখরুল সাহেবরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে লিপ্ত, আমি তাদেরকে পরিস্কার বলতে চাই, যে এ দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার চিরদিনের জন্য নির্বাসিত করছেন আপনারা। বিচারপতি সাহাবুদ্দিনকে দিয়ে যে তত্ত্বাবধায়ক কিংবা দল নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল, তিনি যে বিশ্বাসঘাতকতা জনগণের সঙ্গে করেছিল, সেই বিশ্বাসঘাতকতার ফলেই বাংলার জনগণ বুঝতে পেরেছিল আসলে দল নিরপেক্ষ বলতে কোন কিছু নেই। কাজেই জনগণের নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা থাকতেই নির্বাচন হবে। তবে সেই নির্বাচন হবে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এটি আমরা বলতে পারি।
ড. ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতিচারণ করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জীবনসঙ্গিনী হওয়ার পরও তিনি কখনো তার রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেননি। তিনি তাঁকে রাজনীতিতে সাহস ও শক্তি জুগিয়েছিলেন।
বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন নুরুন নবী ভোলা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সচিব ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্যের প্রতিনিধি মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার, ইসলামিয়া আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ, ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগার পরিচালনা কমিটির সদস্য ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো মহাপরিচালক ডঃ আবুল কালাম আজাদ, বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতি পাঠাগারের উপদেষ্টা প্রকৌশলী সাঈদ রেজা শান্ত প্রমুখ।