জনসভায় হামলা, এটাই কি শেখ হাসিনার গণতন্ত্র: মাহাবুবউদ্দিন খোকন 

প্রকাশ : ২১ মে ২০২৩, ১৭:২৫ | অনলাইন সংস্করণ

  ময়মনসিংহ ব্যুরো

নেত্রকোনা জেলা বিএনপির জনসভায় বাঁধা, হামলা-ভাংচুর, ককটেল বিস্ফোরণ, মারধর এবং ৬৩ নেতাকর্মী গ্রেফতারের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন।  

তিনি বলেন, পুলিশের অনুমতি নিয়ে জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। তবুও পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের স্বশস্ত্র হামলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মারধর করে টাকা পয়সা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ সময় পুলিশের ভূমিকা ছিল আওয়ামী লীগের সহায়তকারি হিসেবে। এতে প্রমাণ হয় সরকার জনসমর্থন হারিয়ে জোর করে আবারও ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে।  
   
এটাই কি শেখ হাসিনার গণতন্ত্র বলেও প্রশ্ন রাখেন তিনি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কথা রাখেননি। সারাদেশে কঠোর প্রতিবাদের মাধ্যমে এই সরকারকে পদত্যাগের বাধ্য করা হবে। অবিলম্বে নেত্রকোনায় হামলা-ভাংচুর ও নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করুন। সেই সঙ্গে বিএনপির গ্রেফতার হওয়া নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করছি।  

শনিবার (২০ মে) সন্ধ্যা ৬টায় ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে নেত্রকোণা জেলা বিএনপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।  

সংবাদ সম্মেলনে এই আইনজীবী নেতা আরও বলেন, গত দুইদিনে নেত্রকোনায় বিএনপির ৬৩ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও গ্রেফতার হওয়ায় নেতাকর্মীদের ওকালতনামায় স্বাক্ষর আনতে আদালতে গিয়ে তিনজন আইনজীবী হামলার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় আমি প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষন করে বিচার বিভাগের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সন্ত্রাস মুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।  

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম, নেত্রকোনা জেলা বিএনপির আহবায়ক ডা: আনোয়ারুল হক, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম হেলালী, ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ, যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, এম.এ হান্নান খান, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, নেত্রকোনা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মজিবুর রহমান প্রমূখ।  

সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স আরও বলেন, পূর্বনির্ধারিত জনসভার আগেই নেত্রকোনা ও জামালপুরে গত পরশু থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। নেত্রকোনায় আদালতে আইনজীবীসহ সাতজনকে মারধর করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিএনপিকে নির্বাচনে ডাকা হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই নয়। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে বিএনপির নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক।