ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পিতার পরিচয়ে আ.লীগের রাজনীতি করার সময় শেষ: হানিফ 

পিতার পরিচয়ে আ.লীগের রাজনীতি করার সময় শেষ: হানিফ 

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, পিতার পরিচয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির করার সময় শেষ। পিতা ত্যাগী এবং দলের পরীক্ষিত নেতা হতে পারেন। তাই বলে তার সন্তানরা সুযোগ সুবিধা পাবে এটা শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন না। শেখ হাসিনার কাছে পিতা যেমন পরীক্ষিত নেতা ছিলেন তার সন্তানরাও যেন পরীক্ষিত হন এটা মূল্যায়ন করেন।

বিএনপি ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের কেন্দ্রিক নেতা শ্রবণের পিতা যশোর কেশবপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি উল্লেখ করে হানিফ বলেন, পিতা আওয়ামীলীগের নেতা বলে ছেলে যে একই আদর্শের সৈনিক হতে তা কিন্তু না।

নির্বাচন আসলেই দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে প্রার্থী হবেন আর পিতার পরিচয় দিয়ে বেড়াবেন এটা আর হবে না। বঙ্গবন্ধু নিজেও শৃঙ্খলা ভঙ্গকারিদের পছন্দ করতে না, উগ্রতাকে পছন্দ করতে না। দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে পড়ে ক্ষমা চেয়ে দলে ফিরার দিন শেষ। যারা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন তারা আর দলে আসতে পারবেন না।

সোমবার বিকালে কক্সবাজার কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরীর শহীদ সুভাষ হলে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জুলি ও কুরি পদক প্রাপ্তি উপর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার প্রতীক, বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলার প্রতীক। বঙ্গবন্ধু শুধু মাত্র বাংলার বন্ধু না; তিনি বিশ্ব বন্ধু। ১৯৭৩ সালের ২৩ মে জুলি ও কুরি পদক প্রাপ্তির পর তিনি বিশ্ব বন্ধু হিসেবে প্রমাণিত হন।

বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা আগামি সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ করতে বদ্ধপরিকর মন্তব্য করে হানিফ বলেন, সম্প্রতি নির্বাচন নিয়ে আমেরিকা একটি ভিসানীতির কথা বলেছেন। তারা বলেছেন যারা সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবেন তাদের ভিসা দেয়া হবে না। আমরা এই কথাকে স্বাগত জানাই। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই শেখ হাসিনা সুষ্ঠু নির্বাচন করবে। যারা প্রতিবন্ধকতা করবেন তারাই এটা নিয়ে সমস্যায় পড়বেন।

আগামি সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনা বিজয় নিশ্চিত করতে প্রতিটি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিজয় করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি এসেছে।

বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। যুগে যুগে আওয়ামীলীগ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সময়ে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর ষড়যন্ত্র হয়েছে। জিয়ার খুন, গুম, নির্যাতন নিপীড়ন করে আওয়ামীলীগে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করার চেষ্টা করো হয়েছে। শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পরও এই ষড়যন্ত্র ছিল আছে এবং থাকবে। এরপর বিজয় আমাদের হবে। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক এডভোকেট তাপস রক্ষিতের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ও মেয়র প্রার্থী মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী, সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, কানিজা ফাতেমা আহমেদ এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, কউকের সাবেক চেয়ারম্যান ফোরকান আহম্মেদ, কেন্দ্রীয় নেতা প্রশান্ত ভুষন বড়ুয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, সাবেক সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রনজিত দাশ, পৌর আওয়ামী লীগে সভাপতি মো. নজিবুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান প্রমুখ।

বাংলাদেশ,ষড়যন্ত্র,মন্তব্য
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত