নির্বাচন কমিশন কার্যালয় অভিমুখে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ ও বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবিতে গণমিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ২১ জুন গণমিছিল করার ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী দলটি।
রোববার (১৮ জুন) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির আমির মুফতি রেজাউল করিম (চরমোনাই পীর)।
সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণ ও একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্যে করণীয় বিষয়ে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং দেশের শীর্ষ ওলামা মাশায়েখ, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। আগামী ২৪ জুন এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চরমোনাই পীর বলেন, গত ১২ জুন বরিশাল সিটি নির্বাচনে ঘটে যাওয়া ঘটনা দেশবাসী অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করেছে। সরকারদলীয়রা কতটা নির্মম ও পৈশাচিকভাবে বাংলাদেশের একজন জননন্দিত আলেম ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীমকে দফায় দফায় আক্রমণ করেছে, চরমভাবে আপমান অপদস্ত করেছে এমনকি শারীরিকভাবে আক্রমণ করে রক্তাক্ত করেছে, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।
মুফতি রেজাউল করিম বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ করেও মুফতি ফয়জুল করীম সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তো দূরের কথা তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তাটুকুও পাননি। উপরন্ত ঘটনার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল একজন অবিবেচকের মতো মুফতি ফয়জুল করীমের শরীর থেকে রক্তক্ষরণ নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য ও উপহাস করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন করে বলেছেন, তিনি (মুফতি ফয়জুল করীম) কি ইন্তেকাল করেছেন?' একজন মানুষ কোন পর্যায়ের বিবেকবর্জিত হলে দেশের একজন সম্মানিত ব্যক্তির ব্যাপারে এমন বক্তব্য দিতে পারেন, তা আমাদের ভাবতেও অবাক লাগে।
মুফতি রেজাউল করিম প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়ালের পদত্যাগ দাবি করেন। পাশাপাশি বরিশালে ফয়জুল করীমের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।