আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেছেন, জঙ্গিবাদ- সন্ত্রাস ও সাম্প্রতিকতার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ হলে "স্বাস্থ্য পরিষেবায় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক" শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কেন্দ্র (সিবিআইআর) এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
সুজিত রায় নন্দী বলেন, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যে সকল অভিন্ন ইস্যূ রয়েছে বিশেষ করে জঙ্গি-সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতা মোকাবেলায় আমরা একসাথে কাজ করব। ভারত বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক। বৈশ্বিক মহামারী করোনার দূর্যোগ মূহুর্তেও ভারত বাংলাদেশের পাশে দাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, আজকে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ হচ্ছে উন্নয়ন ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রোল মডেল। আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
ভারতের চিকিৎসাদের উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ থেকে লাখ লাখ রোগী যায় ভারতে চিকিৎসা সেবা নেওয়ার জন্য। আমরা প্রত্যাশা করব, তারা সুখকর অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে আসবে। বাংলাদেশ থেকে যেসব গরীব রোগী ভারতে জিজ্ঞাসা করার জন্য যাবে, তাদের ক্ষেত্রে মানবিক বিষয়টি বিবেচনা করার আহ্বান জানান সুজিত রায় নন্দী।
এসময় অন্যান্য বক্তারা বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসের এক নজীরবিহীন রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী। সেই সম্পর্কের আজ ৫২ বছর অতিবাহিত হয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারত সম্পর্ক যেসব সূত্রে গাথা তার অন্যতম এক উপাত্ত চিকিৎসা সেবা। প্রতি বছর লাখ লাখ বাংলাদেশী উন্নত মানের চিকিৎসা নিতে ভারত গিয়ে থাকেন। ভারত ও বাংলাদেশ ভিসা প্রক্রিয়া আরও সহজ করারও দাবি করেন তারা।
আলোচনা সভায় আরও অংশ নেন, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ভারতে পিয়ারলেস হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. সুজিত কর পুরকায়স্থ, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কেন্দ্রে (সিবিআইআর) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের পরিচালক শহিদুল হাসান খোকন, সমন্বয়ক শেখ জনি ইসলাম প্রমুখ।