জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, নির্বাচন ব্যবস্থা স্বাধীন জায়গায় রাখতে হবে। কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। বর্তমান সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। নির্বাচন ব্যবস্থা সব সময় সরকারের আওতার বাইরে রাখতে হবে। যারাই ক্ষমতায় আসে তারাই নির্বাচন ব্যবস্থা তাদের আওতায় রাখতে চেষ্টা করেছে।
শনিবার (২২ জুলাই) দুপুরে বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন জি এম কাদের।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি ও জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সহ-সভাপতি খন্দকার দেলোয়ার জালালী।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রনে নিয়েছে। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট পদে নিজেদের লোক নিয়োগ দিয়েছে, যারা দলীয় আনুগত্য করবে। কিছু আইন সংস্কার করেছে, যাতে নির্বাচনের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে থাকে। এমন বাস্তবতায় কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না, এটা বারবার প্রমাণ হয়েছে।
জি এম কাদের বলেন, যখন সরকার মনে করছে নির্বাচন কিছুটা নিরপেক্ষ করতে হবে, তখন তাই হচ্ছে। যখন মনে করছে সরকারকে হেরে যেতে হবে, সেখানে হেরে যাচ্ছে। সরকারের ইচ্ছের বাইরে নির্বাচনের ফলাফল হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, এমন নির্বাচনকে জনগণের ভোটের নির্বাচন বলা যায় না। এমন নির্বাচন হচ্ছে সরকার বা নির্বাচন কমিশন ঘোষিত নির্বাচন। এমন নির্বাচনে জনগণের সরকার হয় না। জনগণের সরকার ছাড়া জনগণের জন্য কেউ কাজ করে না।
বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, গণতন্ত্র হচ্ছে, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার যারা জনগণের জন্য কাজ করবে। এখন উল্টে গেছে, আওয়ামী লীগ দ্বারা নির্বাচিত সরকার আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করছে। এটা গণতন্ত্রের বিপরীতে আওয়ামীতন্ত্র বা ডেমোক্রেসির বিপরীতে আওয়ামীক্রেসি। এমন বাস্তবতায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, এতে নির্বাচনের বিপরীতে সিলেকশন হতে পারে।