রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদের দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশ করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম তিন সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে ডিএমপি কমিশনারের অনুমতির পর মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করেছেন তারা।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেল ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতাসীনদের শান্তি সমাবেশ শুরু হবে।
আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম তিন সংগঠনের শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের। এছাড়া আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম, অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ জানায়, এটি শান্তির সমাবেশ, এখানে কোনো চেয়ার থাকবে না। সমাবেশ স্টেজের দৈর্ঘ্য হবে ৬৪ ফুট, প্রস্থ ২৮ ফুট। সামনের দিকে থাকবেন নারীরা। প্রথম বেষ্টনীতে তারা অবস্থান করবেন।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু বলেন, ঢাকা বিভাগ থেকে তিন থেকে পাঁচ লাখ ছাত্র ও যুবকের সমাবেশ ঘটবে এখানে। তার বেশিও হতে পারে। আগত অতিথিদের জন্য পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা থাকবে। অনেকগুলো জেলা থেকে নেতাকর্মীরা অলরেডি চলে এসেছেন। তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করছি। সমাবেশে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা থাকবে, খাওয়া-দাওয়া হবে, চিকিৎসার ব্যবস্থাও থাকবে। কেউ অসুস্থ হলে তাদের জন্য ২০ জন ডাক্তার নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের টিম গঠন করা হয়েছে।
বাংলাদেশের মানুষ শান্তি চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শান্তিতে আছে। উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখার জন্য বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ, যুবসমাজ সবাই ঐক্যবদ্ধ। আমরা বাংলাদেশের ছাত্র-যুব সমাজকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, আসুন আমাদের শান্তির সমাবেশে।
প্রস্তুতি মোটামুটি সম্পন্ন জানিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বলেন, আমি মনে করি সমাবেশে লক্ষ লক্ষ যুবক-ছাত্রদের মহাসমাবেশ ঘটবে।
সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু বলেন, তারুণ্যের সমাবেশের নামে চারিদিকে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে বিএনপি। ২০১৩-১৪ সালে অগ্নিসংযোগ করেছে, বোমা হামলা করেছে। এখনো তারা সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করে বাংলাদেশে আবার নৈরাজ্য করার চেষ্টা করছে। আগামীকালের সমাবেশে যুবকদের উপস্থিতি দেশের মধ্যে শান্তির বার্তা পৌঁছে দেবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের মানুষ শান্তি চায়। আগামী প্রজন্মের জন্য শান্তি চায়। লক্ষ লক্ষ যুবক-ছাত্রদের নিয়ে আমরা শান্তির বার্তা পৌঁছে দেব।