তার এখন ব্যাগ গুছিয়ে গণভবন ত্যাগ করা ছাড়া উপায় নেই। যত দ্রুত সম্ভব সব গুছিয়ে গণভবন ত্যাগ করার জন্য প্রস্তুত হোন। শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন
আজকে মনে হচ্ছে বাংলাদেশের সমস্ত পথ পল্টনে এসে শেষ হয়েছে। এতবড় সমাবেশ আমি দেখিনি। এখানে মানুষ পরিষ্কার বার্তা দেওয়ার জন্য এসেছে। অবৈধ, দখলদার, ভোট চোর সরকারকে বার্তা দেওয়ার জন্য এসেছে।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে একদফার কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি আয়োজিত মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির প্রত্যেক সভায় আগেই তারা ইন্টারনেট বন্ধ করে দেন। ইন্টারনেট না থাকার পেছনে যারা কাজ করছেন তারা হচ্ছেন ভোট চোরদের দালাল। সুতরাং সাবধান। যারা এই কাজের পেছনে আছেন তারা চিহ্নিত হয়ে আছেন। তারা আগামী নির্বাচনকে ব্যাহত করতে ভোট চুরির প্রকল্প বাস্তবায়কে কাজ করছেন।
আমীর খসরু বলেন, সমাবেশ ডাকার পর থেকে প্রচুর বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা এই কাজটি করছে তারা ভোট চুরির প্রকল্পের অংশ হিসেবে এই কাজ করছে। এই ভোট চুরির প্রকল্পে যারা জড়িত তারা সবাই চিহ্নিত হচ্ছে।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘একটা সুখবর দেই। দেশের ভেতরে বাংলাদেশের মানুষ পরিষ্কার বার্তা দিয়েছে গণভবন ত্যাগ করুন। গণভবন ত্যাগ করুন। বিশ্ব বিবেক, গণতান্ত্রিক দেশ, গণতান্ত্রিক সংস্থাগুলো কী বলছে দেখুন। কংগ্রেসম্যানরা বলছে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। ১৩ জন বলেছে। এরআগে আরও ছয়জন বলেছে।
ইতোমধ্যে ইইউর সংসদ সদস্যরাও চিঠি দিয়ে তাদের নেতাদের জানিয়েছে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। এর আগে ভোট চুরির প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত থাকায় র্যাবের কিছু লোকজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। গতকাল যারা চিঠি দিয়েছে তারা বলেছে জাতিসংঘ ও নিরপেক্ষ দেশগুলো মিলে বাংলাদেশে আর কিছু বাকি আছে?
সরকারের উদ্দেশে আমীর খসরু বলেন, ‘দেশেও নেই নাই, বিদেশেও নাই। কার ওপর ভর করে ভোট চুরির প্রকল্প বাস্তবায়নের দিকে যাচ্ছেন। কেউ নাই। আগেও নাই, পিছেও নাই। সামনেও নাই, পেছনেও নাই।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যতক্ষণ না পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে ততক্ষণ কেউ বাড়ি ফিরে যাবেন না।