বিএনপি দেশের মানুষকে কী দিতে পেরেছে: প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২৩, ০১:৩১ | অনলাইন সংস্করণ

বিএনপির এক দফার আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ কী অপরাধ করেছে? বিএনপি কেন এক দফার কথা বলছে। যারা স্বজনহারা তাদের জবাব কি খালেদা জিয়া দিতে পারবে? বিএনপি দেশের মানুষকে কী দিতে পেরেছে?

শনিবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় স্বাগত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এখন যখন বাংলাদেশে উন্নয়ন হয়েছে, তারা সরকার উৎখাত করতে চায়, এর মানে কি তারা আবার দেশকে পিছিয়ে নিতে চায়! আমরা বিএনপির মতো দেশকে পিছিয়ে নিইনি। ওরা আবার এলে ভাতা বন্ধ করে দেবে, বিআরটিসি বন্ধ, কমিউনিটি ক্লিনিক চিকিৎসা বন্ধ করে দেবে।

বিএনপির একদফা আন্দোলনের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি একদফা আন্দোলন করছে, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে! কী অপরাধ আমাদের? বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর কত মৃত্যু-হত্যা-লাশ, গুম, কত ঘটনা ঘটেছে। ’৯১-এ যখন বিএনপি ক্ষমতায় এলো, কী দিতে পেরেছিল মানুষকে? তিনি আরও বলেন, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। তাদের কাছে প্রশ্ন-আজ বিএনপি-জামায়াতের এত আন্দোলন কেন? তখন খালেদা জিয়া বলেছিল, পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নেই! আমি জানতে চাই, পাগল আর শিশু তারা পেয়েছে কি না? সেই জবাবটা জাতির কাছে দিতে হবে।

১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্টের হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল। এজন্যই ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে তারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নমিনেশন দেয়। খুনিদের সংসদে নিয়ে আসে। যারা এ হত্যাকাণ্ডে (জড়িত), তাদের পুরস্কৃত করল কীভাবে? ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন এ দেশের জনগণ মেনে নেয়নি, ৩০ মার্চ খালেদা জিয়া বাধ্য হয় পদত্যাগ করতে। তারা পদত্যাগ করতে বাধ্য, কারণ তারা জনগণের ভোট চুরি করেছিল। যারা জনগণের ভোট চুরি করে, তারা কোন মুখে নির্বাচন নিয়ে কথা বলে?

শেখ হাসিনা বলেন, রক্ত যাদের হাতে, তারা কোন মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে? যার হাত সেনাবাহিনীর রক্তে রঞ্জিত, সাধারণ মানুষের রক্তে রঞ্জিত, তারা কীভাবে গণতন্ত্রের কথা বলে? ভোট চুরি করেছে, স্বৈরতন্ত্রের মাধ্যমে যাদের জন্ম, তারা কী গণতন্ত্রের কথা বলে? এরা এলে গণতন্ত্র থাকতে দেবে না। 

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে দলটির সভাপতি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের অত্যাচারের শিকার দেশের সর্বস্তরের মানুষ। খালেদা জিয়া যে সাজাপ্রাপ্ত আসামি, এটা আমাদের করা মামলা না। তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় করা মামলা।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভা শুরু হয়। সূচনা বক্তব্যের পর শুরু হয় মূল আলোচনা। বৈঠক সূত্র জানায়, কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় আগামী নির্বাচন সামনে রেখে দলের ভেতরে ঐক্যের নিদের্শনা দেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। সমসাময়িক রাজনীতিসহ বৈঠকে ৯টি এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হয়। সেগুলোর মধ্যে ছিল শোক প্রস্তাব, দলের সভাপতি শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপন (২৮ সেপ্টেম্বর), শেখ রাসেল দিবস (১৮ অক্টোবর), জেলহত্যা দিবস (৩ নভেম্বর), নূর হোসেন দিবস (১০ নভেম্বর), ডা. মিলন দিবস (২৭ নভেম্বর), সমসাময়িক বিষয় (জাতীয় ও আন্তর্জাতিক), সাংগঠনিক বিষয় ও বিবিধ।