“কোথায় খেলবেন বলেন, প্রয়োজনে মহিলা আওয়ামী লীগকে পাঠাব”
প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৫৮ | অনলাইন সংস্করণ
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি বলেছে আগামী মাসে ফাইনাল খেলা হবে। ফাইনাল খেলার জন্য প্রস্তুত আছি। প্রিপারেশন নিয়েছি। ফাইনাল খেলা কোথায় খেলবেন বলেন। সেখানে যাব। আওয়ামী লীগ যাবে না, যুবলীগকে পাঠাব। ফাস্ট টিম পাঠাব না, সেকেন্ড টিম পাঠাব। প্রয়োজনে মহিলা আওয়ামী লীগকে পাঠাব। ওদের সাথে আগে খেলেন। তারপর আওয়ামী লীগ প্রয়োজনে আপনাদের সাথে খেলবে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর পাঠানপাড়ার শিমুল তলা মোড়ে রাজশাহী মহানগর ও জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে অনুরোধ জানাব, ফাইনাল খেলার আগে আপনাদের খেলোয়াড়রা দলে থাকে নাকি দল বদল করে ফেলে সেই দিকে খেয়াল রাখবেন। খেলোয়াড়রা দল বদল করে ফেললে ফাইনাল খেলতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি বলছে আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে পারে না। ক্ষমতায় থাকতে দেব না। আপনারা ভাবছেন এভাবে লাফালাফি করেই ক্ষমতায় যেতে পারবেন। আজকে ভূ-রাজনীতিতে বিএনপি হচ্ছে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা। সুতরাং এত লাফালাফি করে লাভ নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাকে ভিসা দেবে না দেবে এটা তাদের ব্যাপার। এ নিয়ে আমরা মাথা ঘামাই না। এটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কারে (কাকে) ভিসা দেবে, কারে (কাকে) ভিসা দেবে না, কারে (কাকে) ১০ বছর দেবে, কারে (কাকে) ১ বছর দেবে, বা কারে (কাকে) দেবে না এগুলো তাদের ব্যাপার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা বুকের রক্ত ঢেলে সমস্ত ষড়যন্ত্র, চক্ষু রাঙানিকে উপড়ে ফেলে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। আজকেও কেউ কেউ চোখ রাঙায়। এটি শেখ হাসিনা, যার ধমনি-শিরায় বঙ্গবন্ধুর রক্ত প্রবাহমান। যে রক্ত আপস মানে না। যে রক্ত রক্তচক্ষুর সামনেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়- সেটি হচ্ছে শেখ হাসিনা। ১৪ সালেও সড়যন্ত্র হয়েছিল। বলেছিল নির্বাচন করলে এক মাসও টিকবে না। আমরা পাঁচ বছর ক্ষমতায় ছিলাম। ১৮ সালেও ষড়যন্ত্র হয়েছিল। নির্বাচন করার পর বিএনপি বলেছিল, টান দিয়ে ফেলে দেব। খালেদা জিয়া জেলে থাকলেও তার ও তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আন্দোলন করেছিল। টান দিতে গিয়েই তারাই রশি ছিঁড়ে পড়ে গেছে।
সম্মেলনে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল, আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল কুমার সরকার, রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমান, রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আবিদা আনজুম মিতা, যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন, রাজশাহী জেলা যুবলীগের সভাপতি মো. আবু সালেহ প্রমুখ।