খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর দাবি আ.লীগ নেতার

প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:১৮ | অনলাইন সংস্করণ

আইন পরিবর্তন করে হলেও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সুযোগ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার।

শনিবার রাতে তার নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এ দাবি জানিয়ে স্ট্যাটাস দেন মোতালেব।

স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন- ‘রাজনৈতিক কারণে আইন পরিবর্তন করে হলেও বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ করে দেওয়া হোক।’

মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় তার স্ট্যাটাসটি। কমেন্ট বক্সে বিএনপির অসংখ্য পদধারী নেতা ও সমর্থকরা তাকে বিষয়টির জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে তার প্রশংসা করেছেন।

অপরদিকে নিন্দা জানিয়ে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে তার বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি হারুন অর রশিদ এ বক্তব্যকে সংগঠনবিরোধী দাবি করে বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিগত ইউপি নির্বাচনগুলোতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময় তিনি সংগঠন পরিপন্থি মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, সাধারণ সম্পাদক একজন ত্যাগী নেতা। তা ঠিক আছে। তবে সম্প্রতিককালে তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে বিচরণ শুরু করেছেন। যার কারণে বিএনপি নেতাদের আদর্শে আদর্শিত হয়ে বিএনপি নেত্রীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম ফারুক বলেন, ৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে বিএনপি ও জিয়া পরিবার সরাসরি জড়িত। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে থেকে বিএনপি নেত্রীর জন্য যে মায়াকান্না ও আইন পরিবর্তন করে বিদেশে চিকিৎসার দাবি জানিয়েছেন তা অত্যন্ত দুঃখজনক; যা সংগঠন বিরোধী বক্তব্যর শামিল। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

অবশ্য এ প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, শেখ হাসিনা মানবতার মা, তিনি খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বাসায় থাকার সুযোগ দিয়েছেন। তিনি (শেখ হাসিনা) যে মানবতার মা, তা খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠালে সেটা আরও একবার প্রমাণ হবে। আমি রাজনৈতিক কারণে লিখেছি, এখানে দোষের কিছু দেখছি না।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভিপি আবদুল মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, এটি আবদুল মোতালেব হাওলাদারের ব্যক্তিগত মন্তব্য। এর দায় আওয়ামী লীগ নেবে না।