মহাত্মা গান্ধী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উভয়েই মানবতা ও শান্তির প্রতি নিবেদিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু ও মহাত্মা গান্ধী উভয়ে অসাম্প্রদায়িক নেতা। তাদের মতাদর্শ বিশ্বের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। তাদের আদর্শ, নীতি ও দর্শন বর্তমান বিশ্বের জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস্থ গুরুদুয়ারা নানক শাহীতে এক সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কুমিল্লার জেলার দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে ‘সৎভাবনা সাইকেল র্যালি’র সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গত ১৪ সেপ্টেম্বর র্যালিটি ভারতের কলকাতা থেকে শুরু হয়ে ২ অক্টেবার বাংলাদেশের নোয়াখালীর গান্ধী আশ্রমে ট্রাস্টে শেষ হয়। লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল এ র্যালির আয়োজন করে। র্যালিটি উপলক্ষে মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসস্থ গুরুদুয়ারা নানক শাহীতে একটি সবংর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার জেলার দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ। সম্মাননীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলি গ্রুপ অব কোম্পানিজে’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী।
লায়ন বিমল বেঙ্গানীর সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন লায়ন্স ইন্টারন্যাশনালের ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর কনক দুগার, স্নেহালায়া’র পরিচালক ড. গিরিশ কুলকারনী, পদমশ্রী পোপাট রাও পাওয়ার, গুরুদুয়ারা ম্যানেজমেন্ট কমিটি বাংলাদেশের সভাপতি অমর চাঁদ, সোনা সাইকেলের পরিচালক সুরেশ গুপ্তা, ও লায়ন প্রকাশ চাঁদ মুন্দ্রা প্রমুখ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে লায়ন্স ক্লাবের সদস্যবৃন্দ ও সাইক্লিস্টরা অংশ নেন। এসময় র্যালিতে অংশগ্রহণকারীদের উত্তরীয় ও ব্যাজ পরিয়ে দিয়ে সবংর্ধনা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবুল কালাম আজাদ আরো বলেন, যখন আমাদের পৃথিবী যুদ্ধ, সহিংসতা, গৃহযুদ্ধ, সন্ত্রাসবাদ, অসহিষ্ণুতা এবং মানবতার বিরুদ্ধে অন্যান্য অপরাধের দ্বারা বিপন্ন হয়, তখন মহাত্মা গান্ধীর কথা মনে রাখা উচিত। যিনি বলেছিলেন, চোখের বদলে চোখ পুরো বিশ্বকে অন্ধ করে দেবে। মানবতার বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, আপনি মানবতার ওপর বিশ্বাস হারাবেন না। মানবতা একটি সমুদ্র, সাগরের কয়েক ফোঁটা নোংরা হলে সাগর নোংরা হয় না। তিনি বলেন, একইভাবে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমার সবচেয়ে বড় শক্তি জনগণের প্রতি ভালোবাসা, আমার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো আমি তাদের খুব বেশি ভালোবাসি। তিনি আরও বলেন, দেশ থেকে সব অন্যায়, শোষণ-পীড়ন বন্ধ করতে প্রয়োজন হলে আমি জীবন উৎসর্গ করব।
ইতিহাসের পরিহাস হলো- ২ মহান নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে মানবতার শত্রুরা। মানবতা, ভালোবাসা এবং শান্তির প্রতি অঙ্গীকারের জন্য তারা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, যা সর্বদা সুরক্ষিত, প্রচার এবং অনুশীলন করা প্রয়োজন। কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী ২০৩১ সালের আগেই স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ হবে।