বিএনপি-জামাতের আমলে কেরানীগঞ্জে কোনো উন্নয়ন হয়নি: নসরুল হামিদ
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৩, ২০:০২ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ঢাকার খুব কাছে হওয়ার পরেও কেরানীগঞ্জে বিএনপি-জামায়াত জোট বা সামরিক স্বৈরাচার সরকারগুলো কোন উন্নয়ন করেনি। একারণে কেরানীগঞ্জকে বলা হতো বাতির নিচে অন্ধকার।
আজ শুক্রবার বিকেলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের আইন্তা মাঠে কোন্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, কেরানীগঞ্জ এক সময় সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে পরিচিত ছিল। বিএনপি-জামায়াত জোট কেরানীগঞ্জকে সন্ত্রাসের জনপদ বানিয়েছিল। বিএনপির সময় কেরানীগঞ্জে তারা সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকতা করেছিল। বিগত সরকারগুলো সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও খুনের রাজত্ব কায়েম করেছিল। সাধারণ মানুষের জানমালের কোন নিরাপত্তা ছিলনা। বিগত সরকারগুলোর আশ্রয় প্রশ্রয়ে রাজনৈতিক সন্ত্রাস ছিল এ এলাকার নিত্যদিনের সঙ্গী। মানুষের সাধারণ চলাচল, নিরাপত্তার মত বিষয়গুলো হয়ে পড়েছিল কঠিন। ব্যবসা-বাণিজ্য হয়ে পড়েছিল স্থবির। মানুষের মনোবল ভেঙ্গে পড়েছিল। আমানউল্লাহ আমানের সময় এ এলাকায় মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা ছিল সাধারণ ব্যাপার। আমাদের নেতা-কর্মীদের উপর প্রায় সাড়ে ৪শ'র বেশি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা ছিল। সেখানে হাজার হাজার নেতা-কর্মীরা ছিল সেই মামলার আসামী।
আমরা সে অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার আশা করছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে দিনবদলের ইশতেহার দিয়ে ২০০৯ সালে সরকার গঠন করলে আমরা সেখান থেকে পরিত্রাণ পাই। বিগত প্রায় ১৫ বছরে কেরানীগঞ্জের কেউ বলতে পারবে না এখানে কোন রাজনৈতিক সহিংসতা হয়েছে, সন্ত্রাস হয়েছে বা মিথ্যা মামলা হয়েছে। রাজনৈতিক সবস্থান বা এলাকার শান্তি-শৃংঙ্খলা বজায় রাখতে আমাদের করণীয় সব কিছুই করেছি। আমরা একটা কথা দৃঢ়ভাবে বলতে পারি যে, মানুষের মধ্যে যে ভয়, আতঙ্ক ও সংশয় ছিল সেগুলো দূর করেছি। তাদের হারানো সাহস ও মনোবল ফিরিয়ে এনেছি। আমরা রাজনৈতিকভাবে কোন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিকে প্রশ্রয় দেইনি। সকল মানুষের সাহস ও মনোবল ফিরিয়ে আনতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করেছি।
নসরুল হামিদ অভিযোগ করে বলেন, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার বা স্বৈরাচারী সরকারগুলোর সময়ে দেশের জনসংস্কৃতি, কৃষ্টি ও খেলাধুলা হারিয়ে যেতে বসেছিল। মাদক ও জঙ্গিবাদের মত ভয়াল সংস্কৃতি দেশে শেকড় গেড়ে বসেছিল। আমরা সেগুলো থেকে উত্তোরণ পেতে কাজ করেছি। শুধু স্কুলের বিল্ডিং বা রাস্তাঘাটের উন্নয়ন নয়, আমরা সামগ্রিক উন্নয়নের পথে হেটেছি গত প্রায় ১৫ বছর। আমরা মাদকমুক্ত সুস্থ সুন্দর প্রজন্ম গড়ে তুলতে সাংস্কৃতির চর্চা ও খেলাধুলার উপর জোর দিয়েছি।
কোন্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর ইকবাল বাপ্পির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইমরোজ সোহাগের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদ, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ম.ই মামুন, কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদুর রহমান চৌধুরী ফারুকসহ জেলা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।