ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গণআন্দোলন সফল সমাপ্তির দিকে যাচ্ছে: আমীর খসরু

গণআন্দোলন সফল সমাপ্তির দিকে যাচ্ছে: আমীর খসরু

সরকার পতনের একদফা দাবিতে চলমান আন্দোলন সফল সমাপ্তির দিকে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। গণআন্দোলন সফল সমাপ্তির দিকে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে গণফোরাম ও পিপলস পার্টির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

আমীর খসরু বলেন, সবাই মিলে আজকে একটি জায়গায় এসেছি, যেখানে দেশের সাধারণ মানুষকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। গণআন্দোলন সফল সমাপ্তির দিকে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে আজকে এখানে বসেছি। মত বিনিময় করেছি, আন্দোলনের বিভিন্ন দিকগুলো বিশ্লেষণ করেছি। আগামীতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রক্রিয়া কী হবে সবাই মিলে মত দিয়েছে। সেভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাব।

আমীর খসরু আরও বলেন, সমঝতার জায়গা একটাই, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। সেটা দেশের জনগণ চায়। দেশের বাইরে থেকে কথাগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। তারা গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ, বিশ্বাসযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেন। বর্তমান সরকারের অধীনে এটা সম্ভব নয়। সম্ভব হলে বারবার এ দেশে এসে তাদের এগুলো বলার কোনো প্রয়োজন হতো না।

বিএনপির নেতা বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা যদি আলোচনার বিষয়বস্তু কী হবে, শর্ত জুড়ে দেয় সেটা তো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। তারা যদি নিরপেক্ষ সরকারের আলোচনায় আসতে চায়, তাহলে বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনে যারা আছে, আমরা সে আলোচনায় যাব। এর বাইরে কোনো ধরনের আলাপ আলোচনার কোনো সুযোগ নেই।

বিএনপির এই শীর্ষস্থানীয় নেতা আরও বলেন, দেশের মানুষের প্রতি সম্মান না রেখে, গণতান্ত্রিক বিশ্বের প্রতি সম্মান না রেখে তারা যদি নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যায়, এই পথ থেকে তাদের সরানো ব্যতীত বাংলাদেশের মানুষের কোনো বিকল্প থাকবে না। এটা পরিষ্কার। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি এবং এটা আজকের আলোচনার এসেছে। এটা আমাদের জন্য দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ-জাতির স্বার্থে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয়ী হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জন্য সংবিধান। সংবিধানের জন্য বাংলাদেশ না। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসেছিল জাতীয় ঐক্য মতের পরিপ্রেক্ষিতে। বিএনপি-আওয়ামী লীগ একা করেনি। জাতীয় ঐক্য মত এবং তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি সেদিন জনগণের প্রতি সম্মান রেখে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধানে সন্নিবেশিত করেছে।

খসরু বলেন, যেটা জাতীয় ঐক্যমতের পরিপ্রেক্ষিতে এসেছে, সেটা কারও এককভাবে পরিবর্তন করার সুযোগ নেই। এমনকি সংবিধানও পরিবর্তন করার সুযোগ নেই। এখানে দুটি পথ আছে, একটি হচ্ছে, নির্বাচনী ইশতেহারে বলতে হবে, ক্ষমতায় গেলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করবে। আরেকটি হচ্ছে, গণভোটের মাধ্যমে। জনগণকে জিজ্ঞাসা করতে হবে। তারা কিছুই না করে এককভাবে বাতিল করেছে। সংবিধানের দোহাই দিয়ে লাভ হবে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, দেশে-বিদেশে নিরপেক্ষ সরকারের বিষয়টা আলোচিত হচ্ছে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল, দেশের ভেতরে এবং বাইরে থেকে তাদের শর্ত মেনে আলোচনা কীভাবে হবে! দেশবাসীর প্রত্যাশার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

সরকার পতন,বিএনপি
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত