সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রাজধানীতে জনসমাবেশ করবে বিএনপি। বুধবার বেলা ২ টায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি’র উদ্যোগে এই জনসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এদিকে আজ একই সময়ে রাজধানীতে শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬০ তম জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ।
বুধবার বিকাল ৩টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের সামনে এ সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মান্নাফী।
দুই দলই সমাবেশ কর্মসূচীতে ব্যাপক জনসমাগম ঘটিয়ে শো-ডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে। দেড় কিলোমিটার দূরত্বে বিএনপি-আওয়ামী লীগের জনসমাবেশকে ঘিরে জনমনে বিরাজ করছে নানামুখী শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিএনপির সমাবেশ থেকে সরকারকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেয়া হতে পারে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের নয়া পল্টনের সমাবেশে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
অপরদিকে আওয়ামীলীগের নেতারা শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে ব্যাপক মানুষের সমাগম ঘটানোর টার্গেট নিয়েছে। এর মাধ্যমে রাজধানীতে সাংগঠনিক শক্তির মহড়া দিতে চায় আওয়ামী লীগ। সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে রাজধানীর প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসবেন।
বিএনপির এই কর্মসূচি ঘিরে কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা করতে না পারে সেজন্য সমাবেশ কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি রাজধানীর অলিগলি ও পারা-মহল্লায় সতর্ক পাহারায় থাকবেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতেই এই উদ্যোগ। রাজধানীর প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিট ও থানার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সতর্ক পাহারায় থাকবেন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মূলত বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সরব রাখতে এবং রাজনীতির মাঠে বিএনপির বিশৃঙ্খলা ঠেকাতেই এমন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।