বিএনপিকে ওবায়দুল কাদেরের ‘শেষ বার্তা’

প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২৩, ১৮:৩১ | অনলাইন সংস্করণ

বিএনপিকে শেষ বার্তা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমিও বার্তা দিয়ে দিচ্ছি, শেষ বার্তা। আমি আপনাকে শেষ বার্তা এটাই দিচ্ছি- আগামী নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা নির্বাচনী সরকারের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। নির্বাচনের পর ইনশাআল্লাহ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আবারও শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদে বসবেন।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুলের পকেট গরম। মাল-পানি ভালো সরবরাহ। পকেট গরম। ওনার কথাও গরম। হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন, আমাদেরকে ধমক দেয়। মির্জা ফখরুল পাঁচ তারা হোটেলে নাস্তা করে অনশন করে তিন ঘণ্টা। আড়াই ঘণ্টা পর বিদেশি জুস খাইয়া অনশন বন্ধ করে দেয়। এই আন্দোলন তারা করছে।

ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বিএনপির হুঁশিয়ারির প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের বার্তা দিচ্ছে। দিনক্ষণ বলে দিচ্ছে কবে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হয়। আমি বলে দিতে চাই, আজ নয় কাল, এভাবে বলবেন না। আপনি কে বার্তা দেওয়ার? শেখ হাসিনা কার কাছে ক্ষমতা দেবে? শেখ হাসিনা পদত্যাগ করবেন? না, বাংলাদেশের ম্যাজিক লিডার শেখ হাসিনা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অবরোধ করবেন? পাল্টা অবরোধ দেব। দাঁড়াতে দেবো না। অবরোধ যারা করবে, তারাই সাধারণ মানুষের জন্য বাধা। তাদের বিরুদ্ধে মার্কিনদের ব্যবস্থা কি হয়- সেটাও দেখা হবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘খেলা হবে বিএনপির বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। বিএনপি হলো খুনির দল, এদের হাতে রক্ত।’

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগের ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ‘উৎসাহিত হচ্ছেন, কারণ পশ্চিমারা নাকি উৎসাহ দিচ্ছে। ফখরুল সাহেব, দুনিয়ার অবস্থা ভালো না। তাদের নিজেদের ঘর সামলানোই কঠিন। তারা ঘর সামলাবে নাকি আপনাকে উৎসাহ দেবে? উৎসাহ দেওয়ার দিন শেষ।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্ব সমাবেশে অন্যদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, শাহজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আহমেদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।