বিএনপির কথা-কাজ সবই ধ্বংসাত্মক : প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:৩২ | অনলাইন সংস্করণ
বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি এখন নির্বাচন নিয়ে কথা বলে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে তারা নানা কথা বলে। আমি এখন সমালোচনা করতে চাই না। এদের কথা-কাজ সবই ধ্বংসাত্মক। এ ব্যাপারে দেশবাসীকে আমি সতর্ক করব। আজকের উন্নয়ন ধ্বংস করুক, সেটা আমরা চাই না। আজকে আমাদের লক্ষ্য দেশকে আরও উন্নত করা।
তেজগাঁও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতায় ১৫০টি সেতু, ১৪টি ওভারপাস, স্বয়ংক্রিয় মোটরযান ফিটনেস পরীক্ষা কেন্দ্র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আজ বৃহস্পতিবার এসব কথা বলে সরকার প্রধান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৬৭ জনের পরিবারকে অর্থ সহায়তাও প্রদান করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। তারা প্রতিদিন আন্দোলন করছে। তারা নাকি আমাদেরকে হটিয়ে দেবে। ঠিক আছে তারা আন্দোলন করতে থাকুক। আমার তো জনগণ আছে। জনগণের কল্যাণ করাই আমার লক্ষ্য।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৯ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল তারা দেশকে কী দিয়েছে? তারা দেশের মানুষের জন্য কতটুকু করেছে? তারা দেশের কতটুকু উন্নতি করেছে, সেটাই হলো বড় প্রশ্ন। আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে এসেছে, তখনই এ দেশের উন্নয়নে আমরা কাজ করেছি।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে সরকারে আসতে পারিনি। কারণ আমাদের গ্যাস অন্য দেশ কিনবে; আমি রাজি হইনি। খেসারত দিতে হয়েছে, ক্ষমতায় আসতে পারিনি। জনগণের ভোট পেয়েছিলাম কিন্তু চক্রান্তের শিকার হয়েছিলাম। তার পরে দেশটার অবস্থা কী হয়েছিল? বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি-অপশাসনের কারণে এ দেশে ইমার্জেন্সি ঘোষণা হয়। তারপর আসে আর্মি ব্যাকড তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
তিনি আরও বলেন, সেই সময়টার কথা একবার চিন্তা করে দেখেন মানুষের কী দুরাবস্থা ছিল। ব্যবসা-বাণিজ্য করার কোনো সুযোগ ছিল না। বিএনপির আমল থেকে যে অত্যাচার নির্যাতন শুরু হয়েছিল এ দেশের মানুষের ওপর, তারই ধারাবাহিকতা চলতে থাকে। যা হোক একটা পর্যায়ে ২০০৮ সালে তারা নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ফিলিস্তিনে বারবার হামলা মেনে নেয়া যায় না। দখল করা জায়গা ছাড়তে হবে ইসরায়েলকে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হতাহতের ঘটনায় আগামী শনিবার বাংলাদেশ শোক পালন করবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
দেশের ৮ বিভাগের ৩৯ জেলায় নির্মিত এ ১৫০ সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৯ হাজার ৪৫৪ মিটার। এগুলো নির্মাণে ব্যয় হয়েছে মোট তিন হাজার ২৮৭ কোটি টাকা।
এছাড়াও রংপুর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা জেলায় ১৪টি ওভারপাস উদ্বোধন করবেন শেখ হাসিনা। ২০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এসব স্থাপনার মোট দৈর্ঘ্য ৬৮৯ মিটার।
একই অনুষ্ঠান থেকে ময়মনসিংহের কেওয়াটখালী সেতু ও রহমতপুর সেতুর ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) সহায়তায় ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় ১৬টি সেতু আজ উদ্বোধন হয়েছে। একই সংস্থার অর্থায়নে চলমান ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে নির্মিত ২১ সেতুর উদ্বোধন হয়। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহযোগিতায় চলমান এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের আওতায় ১৪ সেতু উদ্বোধন হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা ও রংপুর জেলায় মোট ১৪টি ওভারপাসও উদ্বোধন হয়।