বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় কেরানীগঞ্জের ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, বিগত বিএনপি সরকার সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও খুনের রাজত্ব কায়েম করেছিল। সাধারণ মানুষের জানমালের কোন নিরাপত্তা ছিলনা। তাদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে রাজনৈতিক সন্ত্রাস ছিল এই এলাকার নিত্যদিনের সঙ্গী। মানুষের সাধারণ চলাচল, নিরাপত্তার মত বিষয়গুলো হয়ে পড়েছিল কঠিন। ব্যবসা-বাণিজ্য হয়ে পড়েছিল স্থবির। মানুষের মনোবল ভেঙ্গে পড়েছিল।
বুধবার কেরানীগঞ্জের জিনজিরার তাওয়াপট্টির ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
দেশের শান্তি-সমৃদ্ধি ও সুষ্ঠু ব্যবসার পরিবেশ বজায় রাখতে আবারো নৌকা মার্কার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে নসরুল হামিদ ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানান।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই এলাকায় সন্ত্রাস-চাঁদাবাজির জন্য যে ব্যবসা খারাপ ছিল তার উপর বাড়তি চাপ তৈরি করেছিল দিনে ১৬-১৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকা। একদিকে বিদ্যুৎ না থাকা অন্যদিকে চাঁদাবাজি ছিল বিএনপি-জামায়াত আমলের নিত্যদিনের ঘটনা।
বর্তমানে সে অবস্থা থেকে পরিত্রাণের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে দিনবদলের ইশতেহার দিয়ে ২০০৯ সালে সরকার গঠন করলে আমরা সেখান থেকে রক্ষা পাই। বিগত প্রায় ১৫ বছরে কেরানীগঞ্জের কেউ বলতে পারবে না এখানে কোন রাজনৈতিক সহিংসতা হয়েছে, সন্ত্রাস হয়েছে। এলাকার শান্তি-শৃংঙ্খলা বজায় রাখতে আমাদের করণীয় সব কিছুই করেছি। আমরা একটা কথা দৃঢ়ভাবে বলতে পারি যে, মানুষের মধ্যে যে ভয়, আতঙ্ক ও সংশয় ছিল সেগুলো দূর করেছি। তাদের হারানো সাহস ও মনোবল ফিরিয়ে এনেছি।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদ, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ম.ই. মামুন, জিনজিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাকুর হোসেন সাকু, তাওয়াপট্টি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আকতার জিলানি খোকন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেবসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।