শান্তি-সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন চাইলে বিএনপির’র মতো অপশক্তিকে রুখতে হবে: নসরুল হামিদ
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:৩০ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন চাইলে দেশের মানুষকে বিএনপি-জামায়াত জোটের মতো অপশক্তিকে রুখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-০৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
শুক্রবার শুভাড্যা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উঠান বৈঠকের সময় এসব কথা বলেন তিনি।
নসরুল হামিদ বলেন, বিএনপি আগুন সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে পুনরায় ধ্বংসাত্বক রাজনীতি শুরু করেছে। সন্ত্রাস করে কখনও মানুষের মন জয় করা যায় না।
বিএনপি একটি জনভিত্তিহীন দল বলেই তারা ভুয়া বাইডেনের উপদেষ্টা সাজিয়ে তাদের পার্টি অফিসে মিটিং করিয়েছে, পুলিশ হত্যা করেছে, বাসে আগুন দিয়েছে এবং জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। জনসমর্থন থাকলে এমন মিথ্যা আশ্রয় বিএনপিকে নিতে হতো না। বিএনপি ধোঁকাবাজের দল। এই এলাকায় যারা বিগত দিনে বিএনপির চেয়ারম্যান-মেম্বার ছিলো তারা চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং সন্ত্রাসের লালনকারী।
তিনি আরও বলেন, বিগত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে কেরানীগঞ্জের অভুতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। সব থেকে বড় কথা রাজনৈতিকভাবে কোন সন্ত্রাসী এবং চাঁদাবাজদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া হয়নি।শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটেছে। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ এই ব্যবসা-বাণিজ্যে আরও গতি দিয়েছে। এখানে প্রত্যেক মাদ্রাসা-মসজিদ মন্দির এগুলোর উন্নয়ন হয়েছে।
উন্নয়নের বার্তা দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী দিনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে একনেকে পাশ হাওয়া শুভাঢ্য খাল খনন বাস্তবায়ন করাই হবে আমাদের অন্যতম প্রধান কর্তব্য। এই এলাকায় শিল্পকলকারখানা এবং বসতবাড়িতে গ্যাসের যে সমস্যা রয়েছে তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধান করা হবে আমার প্রধান কর্তব্য।আগে যেখানে ৮ ইঞ্চি গ্যাসের পাইপলাইন ছিলো সেটা এখন ২০ ইঞ্চি গ্যাসের পাইপলাইন করার কাজ চলমান রয়েছে।
উঠান বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ম.ই. মামুন, শুভাড্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী ইকবাল হোসেন, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী মুজিবুর রহমান, কোষাধক্ষ্য জসিম মাহমুদসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।