ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার মাঝি হলেন যারা

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার মাঝি হলেন যারা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। রোববার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এসময় ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮টির প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন তিনি। বাকি দুটি আসনে প্রার্থীর নাম পরে ঘোষণা করা হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নোয়াখালী-৫ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন।

এছাড়া আলোচিত প্রার্থীদের মধ্যে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান মাগুরা-১, চিত্রনায়ক ফেরদৌস ঢাকা-১০, মাশরাফি বিন মোর্তুজা নড়াইল-২ এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন ঢাকা-৬ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।

প্রার্থী তালিকা ঘোষণার শুরুতে ওবায়দুল কাদের রংপুর বিভাগের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। সর্বপ্রথম ঘোষণা করেন পঞ্চগড় জেলার আসনসমূহে মনোনয়ন পাওয়া ব্যক্তিদের নাম।

পঞ্চগড়-১ আসনে নাইমুজ জামান ভুইয়া, পঞ্চগড়-২ আসনে নুরুল ইসলাম সুজন, ঠাকুরগাঁও-১ আসনে রমেশ চন্দ্র সেন, ঠাকুরগাঁও-২ আসনে মাজহারুল ইসলাম, দিনাজপুর-১ আসনে মনোরঞ্জন শীল গোপাল, দিনাজপুর-২ আসনে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দিনাজপুর-৩ আসনে ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর-৪ আসনে আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া দিনাজপুর-৫ আসনে মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, দিনাজপুর-৬ আসনে শিবলী সাদিক, নীলফামারী-১ আসনে আফতাব উদ্দিন সরকার, নীলফামারী-২ আসনে আসাদুজ্জামান নূর, নীলফামারী-৩ আসনে গোলাম মোস্তফা, নীলফামারী-৪ আসনে জাকির হোসেন বাবু, লালমনিরহাট-১ আসনে মোতাহার হোসেন, লালমনিরহাট-২ আসনে নুরুজ্জামান আহমেদ, লালমনিরহাট-৩ আসনে মতিয়ার রহমান, রংপুর-১ আসনে রেজাউল করিম, রংপুর-২ আসনে আহসানুল হক চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

এর আগে সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় বেশির ভাগ আসনের প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত হলেও কৌশলগত কারণে সে তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছিল না।

চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আগে আজ সকাল ১০টার পর গণভবনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ওই সভায় শেখ হাসিনা মনোনয়প্রত্যাশীদের বলেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ পাস করে আসতে পারবেন না। প্রত্যেক প্রার্থীকেই একজন করে দলীয় ডামি প্রার্থী রাখতে হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রার্থী জানান, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ যদি কোনো আসনে জয়ী হন, তাহলে বিজয়ী প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দলীয় প্রধান জানিয়েছেন। দলীয় প্রতীকের প্রার্থীর পাশাপাশি দলের যে কোনো নেতা বা যে কোনো ব্যক্তি স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবে বলেও নির্দেশনা দিয়েছেন।

চলতি বছর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ৩ হাজার ৩৬২ জন। সর্বশেষ গত ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার আগের সংসদের ৫৬ জন এমপি দলীয় মনোনয়ন পাননি। আবার ২০১৪ সালের নির্বাচনে তার আগের সংসদের ৪৯ জনকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি।

সংসদ নির্বাচন
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত